এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানির ৩৩টি ওষুধের দাম ৫০% পর্যন্ত কমেছে

- আপডেট সময় ১১:০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) ৩৩ প্রকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। বুধবার কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা। তিনি জানান, সিন্ডিকেট ভেঙে কাঁচামাল যৌক্তিক মূল্যে কেনার কারণে উৎপাদন ব্যয় কমেছে, যার ফলে ওষুধের দাম কমানো সম্ভব হয়েছে।
যেসব ওষুধের দাম কমেছে
অ্যান্টিবায়োটিক, নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানি ও ভিটামিন সংক্রান্ত ওষুধের দাম কমেছে। ইডিসিএল-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, কেটোরোলাক ইনজেকশন, অনডানসেট্রন ইনজেকশন, সেফট্রিয়াক্সোন এবং সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মেরোপেন ও ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও কমানো হয়েছে।
এছাড়াও, মনটিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা ৬৭ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে। গ্রামীণ ক্লিনিকে তালিকাভুক্ত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দামও কমানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড, প্যারাসিটামল, সালবিউটামল, অ্যালবেনডাজল, ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ এবং মেটফর্মিন।
কর্মী ছাঁটাই ও অতিরিক্ত জনবল প্রসঙ্গে
কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে সামাদ মৃধা বলেন, ইডিসিএলের উৎপাদনক্ষমতা অনুযায়ী দুই হাজারের বেশি অতিরিক্ত জনবল ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই অদক্ষ কর্মী এবং অনেকের জাল সনদ পাওয়া গেছে। তারা কোনো কাজ করত না। এই অদক্ষ জনবলের মধ্য থেকে ৭২২ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির স্বার্থে আরও এক হাজারের বেশি জনবল ছাঁটাই করা প্রয়োজন হবে। যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান।