কক্সবাজার সফরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, মহেশখালীতে আলোচনার ঝড়

- আপডেট সময় ০৬:২৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস অবশেষে কক্সবাজারে এসেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন—কে এম আতিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দর থেকে নেমেই তারা সরাসরি নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে যান এবং সেখান থেকে স্পিডবোটে মহেশখালীতে পৌঁছান। সেখানে পিটার হাস ঘুরে দেখেন হোপ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘এক্সিলারেট হোপ হসপিটাল’। বেলা ১১টার দিকে তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক।
হাসপাতালে প্রবেশের পর হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর হাসপাতালের অবকাঠামো ও চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন পিটার হাস। পরে হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলটি বড় মহেশখালীতে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তবে সেগুলো কী ধরনের কর্মসূচি ছিল তা জানা যায়নি। বর্তমানে পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই তার এ সফর।
সম্প্রতি কক্সবাজারে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে পিটার হাসের একটি গোপন বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও সেই বৈঠকের সত্যতা মেলেনি, তবে আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই তার আবারও কক্সবাজার সফর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, সাবেক রাষ্ট্রদূতের এ সফর নিছক হাসপাতাল ঘুরে দেখা বা আনুষ্ঠানিকতা নয়। এর পেছনে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বার্তা থাকতে পারে। মহেশখালীর কৌশলগত অবস্থান এবং জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ—সব মিলিয়ে সফরটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
পিটার হাসের সফর ঘিরে কক্সবাজারে ছিল কড়া নিরাপত্তা। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তার সফরসঙ্গী আতিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া কারা—এ প্রশ্ন এখন কক্সবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরছে। স্পষ্ট তথ্য না থাকায় গুঞ্জন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।