কচ্ছপ পাচারের জাল ভেঙে দিলো প্রশাসন, উদ্ধার ৪২৫টি কচ্ছপ

- আপডেট সময় ০৩:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করা বিভিন্ন প্রজাতির জীবিত ও মৃত ৪২৫টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে চৌমুহনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মন্ডল পাড়ায় লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়।
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক একেএম আরিফুজ্জামান জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানতে পারে যে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে অবৈধভাবে প্রচুর কচ্ছপ মজুত করা হয়েছে।
খবর পাওয়ার পরপরই বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। টের পেয়ে পাচারকারী চক্র কচ্ছপগুলো সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
এর মধ্যে ৩২৫টি কচ্ছব জীবিত এবং ১০০টি মৃত অবস্থায় জব্দ করে বন বিভাগের জেলা কার্যালয়ে রাখা হয়।
শনিবার দুপুরে কিছু কচ্ছব বন বিভাগের জেলা কার্যালয়ের পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।
বাকি কচ্ছপগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। জব্দ করা জীবিত কচ্ছপগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী উপযুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে।
এছাড়া মৃত কচ্ছপগুলোর কিছু নোয়াখালীতে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে এবং কিছু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ল্যাবে পরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এ সময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক বলেন,
‘নোয়াখালী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে নিয়মিত বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কচ্ছপ এনে মজুত করা হয়।
মজুত কচ্ছপগুলো পরে ঢাকা এবং ভারতসহ দেশ-বিদেশে পাচার করা হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাচারকারী চক্র গত শীতের মৌসুম থেকে এখানে কচ্ছপ মজুত করছিল।
অভিযানে জীবিত এবং মৃত অবস্থায় ফ্রিজিং করে রাখা কচ্ছপ ছাড়াও ৮০টির মতো ড্রাম পাওয়া গেছে যেখানে কচ্ছপ রাখা হতো।
এতে ধারণা করা হচ্ছে বেশ কিছু কচ্ছপ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জব্দ করা কচ্ছপগুলোর মধ্যে চার প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে।
এ কচ্ছপগুলো বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ।
কচ্ছপ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী তফসিল-১ ভুক্ত রক্ষিত বন্যপ্রাণী।
জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।