ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

    কর বিল পাস হলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি ইলন মাস্কের

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:২৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
    • / ২৭১ বার পড়া হয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত কর বিল নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। সোমবার (১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একাধিক পোস্টে তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ সমর্থনকারী কংগ্রেস সদস্যদের কঠোরভাবে সমালোচনা করেন এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি দেন।

    মাস্ক লিখেছেন, “যেসব কংগ্রেস সদস্য বাজেট কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, অথচ বিপরীতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঋণ বৃদ্ধির প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “আমি যদি পৃথিবীতে আমার শেষ কাজও করি, তবুও নিশ্চিত করব তাঁরা যেন পরবর্তী নির্বাচনে হেরে যান।” এর কয়েক ঘণ্টা পর মাস্ক ঘোষণা দেন, যদি এই বিল পাস হয়, তবে পরদিনই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবেন। তাঁর ভাষায়, “আমরা এখন একদলীয় রাষ্ট্রে বসবাস করছি, যেটাকে বলা যায় ‘পর্কি পিগ পার্টি’

    সময় এসেছে এমন একটি নতুন দল গঠনের, যারা সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।” এই পদক্ষেপ ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রমে সবচেয়ে সরাসরি ও জোরালো হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর এটি তাঁর প্রথম বড় রাজনৈতিক হুমকি। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের পক্ষে মাস্ক ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করেছেন। যদিও মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক খাতে তাঁর খরচ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

    তবে সাম্প্রতিক সময়ে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত ঘরোয়া ব্যয় বিল নিয়ে মাস্ক ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। মাস্ক দাবি করেন, এই বিল পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ রেকর্ড ৫ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা দেশের জন্য আর্থিক দাসত্বের পথে নিয়ে যাবে। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের নথি অনুযায়ী, মাস্কের রাজনৈতিক কমিটি ‘আমেরিকা পিএসি’ সম্প্রতি ফ্লোরিডার দুটি নির্বাচনে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এই সহায়তা পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী র‍্যান্ডি ফাইন ও জিমি পেট্রোনিস।

    উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমর্থক ছিলেন—বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে। তবে সাম্প্রতিক নীতিগত মতভেদ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মাস্ক এখন রিপাবলিকান দল থেকেও দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    কর বিল পাস হলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি ইলন মাস্কের

    আপডেট সময় ০৩:২৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

    যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত কর বিল নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। সোমবার (১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একাধিক পোস্টে তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ সমর্থনকারী কংগ্রেস সদস্যদের কঠোরভাবে সমালোচনা করেন এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি দেন।

    মাস্ক লিখেছেন, “যেসব কংগ্রেস সদস্য বাজেট কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, অথচ বিপরীতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঋণ বৃদ্ধির প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “আমি যদি পৃথিবীতে আমার শেষ কাজও করি, তবুও নিশ্চিত করব তাঁরা যেন পরবর্তী নির্বাচনে হেরে যান।” এর কয়েক ঘণ্টা পর মাস্ক ঘোষণা দেন, যদি এই বিল পাস হয়, তবে পরদিনই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবেন। তাঁর ভাষায়, “আমরা এখন একদলীয় রাষ্ট্রে বসবাস করছি, যেটাকে বলা যায় ‘পর্কি পিগ পার্টি’

    সময় এসেছে এমন একটি নতুন দল গঠনের, যারা সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।” এই পদক্ষেপ ইলন মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রমে সবচেয়ে সরাসরি ও জোরালো হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পর এটি তাঁর প্রথম বড় রাজনৈতিক হুমকি। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের পক্ষে মাস্ক ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করেছেন। যদিও মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক খাতে তাঁর খরচ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

    তবে সাম্প্রতিক সময়ে রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত ঘরোয়া ব্যয় বিল নিয়ে মাস্ক ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। মাস্ক দাবি করেন, এই বিল পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ রেকর্ড ৫ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা দেশের জন্য আর্থিক দাসত্বের পথে নিয়ে যাবে। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের নথি অনুযায়ী, মাস্কের রাজনৈতিক কমিটি ‘আমেরিকা পিএসি’ সম্প্রতি ফ্লোরিডার দুটি নির্বাচনে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। এই সহায়তা পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী র‍্যান্ডি ফাইন ও জিমি পেট্রোনিস।

    উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সমর্থক ছিলেন—বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে। তবে সাম্প্রতিক নীতিগত মতভেদ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে মাস্ক এখন রিপাবলিকান দল থেকেও দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছেন।