ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

    কাশ্মীর হামলার পর বিরোধীরাও মোদী সরকারের পাশে দাঁড়াল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
    • / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

    ভারতের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলো।

    দুই ঘণ্টাব্যাপী সর্বদলীয় বৈঠকের পর বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, সরকার যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে, বিরোধীরা পূর্ণ সমর্থন দেবে।

    কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব দল এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ সব নেতা একমত হয়েছেন যে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    গত সোমবার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    ভারত একের পর এক পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। সব ধরনের পাকিস্তানি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানি কূটনীতিকদের তাড়াতাড়ি দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তিও স্থগিত করেছে ভারত।

    এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করার পাশাপাশি ভারতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছে।

    তবে এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উভয় দেশই এখন কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    কাশ্মীর হামলার পর বিরোধীরাও মোদী সরকারের পাশে দাঁড়াল

    আপডেট সময় ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

    ভারতের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলো।

    দুই ঘণ্টাব্যাপী সর্বদলীয় বৈঠকের পর বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, সরকার যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে, বিরোধীরা পূর্ণ সমর্থন দেবে।

    কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব দল এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ সব নেতা একমত হয়েছেন যে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    গত সোমবার পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    ভারত একের পর এক পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। সব ধরনের পাকিস্তানি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানি কূটনীতিকদের তাড়াতাড়ি দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তিও স্থগিত করেছে ভারত।

    এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। দ্বিপাক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করার পাশাপাশি ভারতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলগুলো জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছে।

    তবে এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

    ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উভয় দেশই এখন কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।