ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    চবি সহিংসতায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মামুন মিয়া গুরুতর আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষাজীবন শেষ হবার পর কর্মজীবনে প্রবেশের স্বপ্ন দেখছিলেন মামুন। রামদার কোপে তার মাথায় গুরুতর ক্ষত হয়েছে, যা এতটাই গভীর যে খুলির একাংশ খুলে ফ্রিজে রাখা হয়েছে। মাথা মোড়ানো হয়েছে সাদা ব‍্যান্ডেজে, যেখানে লেখা হয়েছে ‘হাড় নেই চাপ দেবেন না’।

    মামুনের বড় ভাই, টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মামুন এখনও পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছে, কিন্তু সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত। চিকিৎসকরা বলেছেন, সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং সুস্থ হলেও তাকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন ছাত্র, অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমও গুরুতর আহত হন। রোববার শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘাতে তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের চার দিন পরও সায়েম চোখ মেলেনি এবং বর্তমানে পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। হাসপাতালের স্পেশালাইজড ইউনিটের ইনচার্জ ডা. সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, সায়েমের মাথায় খুলির ভেতরের অংশ ও রক্তনালী ছিঁড়ে গেছে এবং জ্ঞান ফেরেনি; শুধু ব্লাড প্রেসারে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    মামুনের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পূর্ণ সুস্থতার জন্য দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে। খুলি ফ্রিজে রাখা হয়েছে এবং পরে পুনঃস্থাপন করা হবে।

    উল্লেখ্য, সহিংসতার সূত্রপাত হয় চবি ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকায় শনিবার রাতে, যখন একজন ছাত্রী ভাড়া বাসায় দেরিতে ঢুকতে চাইলে দারোয়ান তার গায়ে হাত তোলেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে, যা গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রায় ৪০০ জন আহত হন। এখনও তিন শিক্ষার্থী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    চবি সহিংসতায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

    আপডেট সময় ০২:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতায় সমাজতত্ত্ব বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মামুন মিয়া গুরুতর আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষাজীবন শেষ হবার পর কর্মজীবনে প্রবেশের স্বপ্ন দেখছিলেন মামুন। রামদার কোপে তার মাথায় গুরুতর ক্ষত হয়েছে, যা এতটাই গভীর যে খুলির একাংশ খুলে ফ্রিজে রাখা হয়েছে। মাথা মোড়ানো হয়েছে সাদা ব‍্যান্ডেজে, যেখানে লেখা হয়েছে ‘হাড় নেই চাপ দেবেন না’।

    মামুনের বড় ভাই, টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ রানা জানান, মামুন এখনও পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারছে, কিন্তু সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন অনিশ্চিত। চিকিৎসকরা বলেছেন, সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং সুস্থ হলেও তাকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন ছাত্র, অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমও গুরুতর আহত হন। রোববার শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘাতে তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের চার দিন পরও সায়েম চোখ মেলেনি এবং বর্তমানে পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। হাসপাতালের স্পেশালাইজড ইউনিটের ইনচার্জ ডা. সিরাজুল মোস্তফা জানিয়েছেন, সায়েমের মাথায় খুলির ভেতরের অংশ ও রক্তনালী ছিঁড়ে গেছে এবং জ্ঞান ফেরেনি; শুধু ব্লাড প্রেসারে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    মামুনের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পূর্ণ সুস্থতার জন্য দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে। খুলি ফ্রিজে রাখা হয়েছে এবং পরে পুনঃস্থাপন করা হবে।

    উল্লেখ্য, সহিংসতার সূত্রপাত হয় চবি ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকায় শনিবার রাতে, যখন একজন ছাত্রী ভাড়া বাসায় দেরিতে ঢুকতে চাইলে দারোয়ান তার গায়ে হাত তোলেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে, যা গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সহিংসতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রায় ৪০০ জন আহত হন। এখনও তিন শিক্ষার্থী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।