চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ সাড়ে ৬ হাজার বাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকা

- আপডেট সময় ০৬:৩১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশের পরও মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদাবাজি থামছে না।
অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে না চলার নির্দেশনা থাকলেও কেউ তা মানছে না।
এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ২২ মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন।
অভিনব কৌশলে রাজধানীতে গণপরিবহনে চলছে চাঁদাবাজি।
আগে সড়ক থেকে তোলা হলেও এখন হয় বাস ডিপো ও কাউন্টারগুলো থেকে।
চাঁদার বিনিময়ে রুট পারমিট ও ফিটনেসহীন যানবাহন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ঢাকায় মাত্র ৩ হাজার ৪৪৫টি বাসের রুটপারমিট ও ফিটনেস সনদ দিয়ে থাকলেও সড়কে দাপিয়ে চলছে ১০ হাজারের বেশি বাস।
তথ্যমতে, নন্দন পার্ক থেকে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া রুটে মৌমিতা পরিবহনের মাত্র ৩৩টি বাসের ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট রয়েছে।
অথচ, এই পরিবহনের ব্যানারে সড়কে চলাচল করছে ৮০ থেকে ৯০টি বাস। আর বাসগুলো চলছে চাঁদার বিনিময়ে।
দোহার মদনপুর রুটের আসমানী পরিবহনের একই অবস্থা।
৫০টি বাসের অনুমতি নিয়ে চলছে ৬৯টি।
এমন কৌশলে অবৈধভাবে যানবাহন চালাচ্ছেন বেশিরভাগ পরিবহনই।
এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ঠেকাতে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে বাস মালিকরা, যা তোলা হয় সব বাস থেকেই।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় চাইলেই আমরা বাস, বড় লরি ও কাভার্ডভ্যান রাস্তা থেকে তুলে আনতে পারি না।
ফলে এসব পরিবহনকে মামলা ও জরিমানা বেশি করা হয়।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান জানান, শুধুমাত্রা মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিও এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।
তারা কেউ চায় না- গণপরিবহন শৃঙ্খলার মধ্যে আসুক।
 
 













