চীনের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

- আপডেট সময় ১১:৩৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
চীনের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি ম্যাগনেট সরবরাহ করতে হবে চীনকে, অন্যথায় তাদের পণ্যে ২০০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি শুল্ক বসানো হবে। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্লভ খনিজ উপাদান নিয়ে বেইজিং অত্যন্ত সংবেদনশীল। গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন বেশ কিছু বিরল খনিজ ও ম্যাগনেট রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। বর্তমানে বৈশ্বিক ম্যাগনেট বাজারের প্রায় ৯০ শতাংশই চীনের নিয়ন্ত্রণে। এই খনিজ উপাদান সেমিকন্ডাক্টর চিপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্যে অপরিহার্য, বিশেষত স্মার্টফোন উৎপাদনে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময় এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেল করপোরেশনে ১০ শতাংশ শেয়ার নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্টেল দুর্লভ খনিজ উপাদানের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে চীনের প্রভাব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে চীনের রপ্তানি প্রবণতা উল্টো চিত্র দেখিয়েছে। চীনা কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশটির বিরল খনিজ রপ্তানি জুনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শুধু জুলাই মাসেই বিরল খনিজ আকরিকের রপ্তানি ৪ হাজার ৭০০ টনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান শুল্ক বিরোধের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই বক্তব্য সামনে এসেছে। চলতি মাসের শুরুতে বিরোধ কিছুটা প্রশমিত হওয়ার ইঙ্গিত মিললেও নতুন হুমকি আবারও পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়িয়েছেন। এর ফলে আলোচনার সুযোগ তৈরি হলেও আদেশ না থাকলে শুল্কের হার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছাত।
এর আগে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমঝোতায় পৌঁছেছিল যে, শুল্কহার ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামানো হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এবার ট্রাম্পের নতুন হুঁশিয়ারি কেবল দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নয়, বৈশ্বিক প্রযুক্তি সরবরাহ শৃঙ্খলেও নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।