জাপানে সুনামি সতর্কতায় ২০ লাখ মানুষ সরানো হচ্ছে, বন্ধ বিমানবন্দর ও ফেরি চলাচল

- আপডেট সময় ১২:২৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামির প্রভাবে জাপানে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর জেরে দেশটির রাজধানী টোকিওসহ উপকূলীয় ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগুন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২১টি প্রিফেকচার বা প্রশাসনিক এলাকা থেকে মোট ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯৬ জনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে হোক্কাইডো, কানাগাওয়া এবং ওয়াকায়ামা অঞ্চল থেকে।
বুধবার ভোরে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা অঞ্চলে প্রথমে ৮.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং পরে ৬.৯ মাত্রার একটি আফটার শক আঘাত হানে। এর পরপরই চার মিটার বা প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়ে জাপানের সর্বউত্তরের দ্বীপ হোক্কাইডোর উপকূলে। ভয়াবহতার শঙ্কায় জারি করা হয় প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে ব্যাপক সুনামি সতর্কতা।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী টোকিওসহ দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে। যদিও শুরুতে যেভাবে ভয়াবহতার আশঙ্কা করা হয়েছিল, বাস্তবে ঢেউয়ের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম—প্রায় ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে। তবে প্রভাব পড়েছে দেশটির পরিবহন ব্যবস্থায়।
সুনামির ঝুঁকির কারণে জাপানের উপকূলীয় সেন্দাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট তাদের সকল ফ্লাইট ও কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। একইভাবে হোক্কাইডো, ওমোরি এবং টোকিওর মধ্যে চলাচলকারী ফেরি সার্ভিসও স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি বাহিনী ও উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ করছে।
বিশ্বব্যাপী আশঙ্কা ছড়ানো এই ভূমিকম্প এবং সুনামি পরিস্থিতি নজরে রেখে স্থানীয় সরকারগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকেও সার্বিক পরিস্থিতির ওপর কঠোর নজরদারি চলছে।