ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

    ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক পরিবেশের প্রত্যাশা ছাত্রশিবিরের

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

    ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক উল্লেখ করে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    বিবৃতিতে ছাত্রশিবির নেতারা জানান, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্রসমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন এবং ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন।

    নেতারা বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে, প্রায় ৩৫ বছর পর রাকসু পুনরায় কার্যকর হবে, আর জাকসুও ফিরে পাবে নতুন প্রাণ। এই নির্বাচনগুলো কেবল সাংগঠনিক পুনরুজ্জীবন নয়, বরং তা নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এক বিরাট সুযোগ।

    ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই তিনটি ছাত্রসংসদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক হীনস্বার্থ ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির কারণে নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে সাম্প্রতিক ছাত্রআন্দোলনের পর প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তারা এই ব্যবস্থাকে আবারো সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে।

    তবে সংগঠনটি মনে করে, একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নীতিমালা, সক্রিয় ও সদিচ্ছাপূর্ণ ছাত্রসংগঠন ও প্রশাসন, এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এসব নিশ্চিত করা ছাড়া টেকসই ছাত্ররাজনীতি গড়া সম্ভব নয়।

    তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছাত্রশিবির উল্লেখ করেছে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাকে। তারা মনে করে, একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।

    বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা দেশের সব ছাত্রসংগঠনের উদ্দেশে বলেন, ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের এই সুযোগকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে হবে। সংঘাত ও দমন-পীড়নের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গঠনমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। আদর্শ, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার পরিবেশ তৈরির এখনই উপযুক্ত সময়।

    তারা আরও বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচন একটি জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের প্ল্যাটফর্ম। তাই এটি যেন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে জন্য সব ছাত্রসংগঠনকে দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক পরিবেশের প্রত্যাশা ছাত্রশিবিরের

    আপডেট সময় ০১:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

    ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক উল্লেখ করে অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    বিবৃতিতে ছাত্রশিবির নেতারা জানান, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্রসমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন এবং ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন।

    নেতারা বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে, প্রায় ৩৫ বছর পর রাকসু পুনরায় কার্যকর হবে, আর জাকসুও ফিরে পাবে নতুন প্রাণ। এই নির্বাচনগুলো কেবল সাংগঠনিক পুনরুজ্জীবন নয়, বরং তা নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এক বিরাট সুযোগ।

    ছাত্রশিবিরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই তিনটি ছাত্রসংসদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক হীনস্বার্থ ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির কারণে নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে সাম্প্রতিক ছাত্রআন্দোলনের পর প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তারা এই ব্যবস্থাকে আবারো সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে।

    তবে সংগঠনটি মনে করে, একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নীতিমালা, সক্রিয় ও সদিচ্ছাপূর্ণ ছাত্রসংগঠন ও প্রশাসন, এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এসব নিশ্চিত করা ছাড়া টেকসই ছাত্ররাজনীতি গড়া সম্ভব নয়।

    তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছাত্রশিবির উল্লেখ করেছে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাকে। তারা মনে করে, একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।

    বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা দেশের সব ছাত্রসংগঠনের উদ্দেশে বলেন, ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের এই সুযোগকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে হবে। সংঘাত ও দমন-পীড়নের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গঠনমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। আদর্শ, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার পরিবেশ তৈরির এখনই উপযুক্ত সময়।

    তারা আরও বলেন, ছাত্রসংসদ নির্বাচন একটি জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের প্ল্যাটফর্ম। তাই এটি যেন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে জন্য সব ছাত্রসংগঠনকে দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক ভূমিকায় এগিয়ে আসতে হবে।