ডাকসু নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জয়ী জুলাই কন্যা তন্বী

- আপডেট সময় ১২:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বী। তিনি পেয়েছেন মোট ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাবির সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ভিপি পদে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন সর্বমোট ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
জিএস পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। অন্যদিকে প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দিন খান পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। বেশিরভাগ হলে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল জগন্নাথ হল। সেখানে ভিপি পদে সাদিক কায়েম মাত্র ১০ ভোট পান, বিপরীতে আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।
ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে মোট ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। সব মিলিয়ে প্রতিটি ভোটারকে দিতে হয়েছে মোট ৪১টি ভোট।