ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

    দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই এসআই ও ছয় কনস্টেবল বরখাস্ত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার রাতে রংপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন দুই এসআই ও ছয় কনস্টেবল।

    বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন: তারাগঞ্জ থানার এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইনস থেকে যুক্ত এসআই সফিকুল ইসলাম, এবং কনস্টেবল ফারিকুদ আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার সময় এই আট পুলিশ সদস্য তারাগঞ্জ থানায় মোবাইল টিমের দায়িত্বে ছিলেন।

    এছাড়াও, এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়েরকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
    গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় উন্মত্ত জনতার গণপিটুনিতে রূপলাল দাস ও তার ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল নিহত হন। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল বাজারে জুতা সেলাই করতেন এবং প্রদীপ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ‘গণপিটুনির ভয়ে’ পুলিশ তাদের উদ্ধার না করে ফিরে যায়। ঘণ্টাখানেক পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক সোমবার বলেছিলেন, “থানা থেকে ঘটনাস্থল বেশ দূরে। যখন জনতা একত্রিত হয়, তখন স্কুল মাঠে তিন-চার হাজার লোক ছিল। পুলিশ তাদের রক্ষার চেষ্টা করছিল। কিন্তু এত উত্তেজিত মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে তাদের রক্ষা করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই এসআই ও ছয় কনস্টেবল বরখাস্ত

    আপডেট সময় ১১:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

    রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার রাতে রংপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন দুই এসআই ও ছয় কনস্টেবল।

    বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন: তারাগঞ্জ থানার এসআই আবু জোবায়ের, রংপুর পুলিশ লাইনস থেকে যুক্ত এসআই সফিকুল ইসলাম, এবং কনস্টেবল ফারিকুদ আখতার জামান, ধিরাজ কুমার রায়, হাসান আলী, ফিরোজ কবির, মোক্তার হোসেন ও বাবুল চন্দ্র রায়। জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার সময় এই আট পুলিশ সদস্য তারাগঞ্জ থানায় মোবাইল টিমের দায়িত্বে ছিলেন।

    এছাড়াও, এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু জোবায়েরকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
    গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় উন্মত্ত জনতার গণপিটুনিতে রূপলাল দাস ও তার ভাগনির স্বামী প্রদীপ লাল নিহত হন। প্রদীপের বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামে। রূপলাল বাজারে জুতা সেলাই করতেন এবং প্রদীপ ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

    স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় ‘গণপিটুনির ভয়ে’ পুলিশ তাদের উদ্ধার না করে ফিরে যায়। ঘণ্টাখানেক পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান এবং আরেকজন কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক সোমবার বলেছিলেন, “থানা থেকে ঘটনাস্থল বেশ দূরে। যখন জনতা একত্রিত হয়, তখন স্কুল মাঠে তিন-চার হাজার লোক ছিল। পুলিশ তাদের রক্ষার চেষ্টা করছিল। কিন্তু এত উত্তেজিত মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে তাদের রক্ষা করা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি।