কঠোর অবস্থানেই সময়মতো নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব-রাজনীতি বিশ্লেষকরা

- আপডেট সময় ০৫:১৪:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের বক্তব্যে জনমনে শঙ্কা তৈরি হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সরকার যদি নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান ধরে রাখে এবং ভিন্নমত নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজে, তাহলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো সংশয় থাকবে না।
গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ এবং পরদিন নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনাররা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন এবং ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেন। তবে এর পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিতর্কিত মন্তব্য আসতে শুরু করে। অনেকেই মনে করেন, এসব মন্তব্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কিন্তু বিশ্লেষকরা এটিকে মূলত দলীয় কৌশল হিসেবেই দেখছেন।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, “আমার মনে হয় না—ঐক্যমত ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। নিশ্চয়ই সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এর বাইরে যেসব বক্তব্য আসছে, সেগুলো রাজনৈতিক।”
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ‘সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরে আসবে’—এমন মন্তব্যে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করলেও বিশ্লেষকরা তাতে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখছেন না। তাদের মতে, এরইমধ্যে সংস্কার ও বিচারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, “নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা আরপিও সংশোধন করেছে। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংশয় হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।”
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি নির্বাচনী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় তবে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা কঠিন হয়ে পড়বে। তবে সামগ্রিক প্রস্তুতি ও চলমান প্রক্রিয়া তাদের আশাবাদী করে তুলছে যে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।