ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

    ফজলুর রহমানকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার দাবি নেটিজেনদের

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

    বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

    রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই দাবি জানাতে থাকেন তারা। এর আগে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ফজলুর রহমানকে শোকজ করে বিএনপি। দলের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শোকজের খবরটি ফেসবুক পেজে শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ফটোকার্ডের মন্তব্য ঘরে একের পর এক প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

    অধিকাংশ মন্তব্যে ফজলুর রহমানকে কেবল বহিষ্কার নয়, আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও তোলা হয়। সেলিম উল্লাস নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শোকজ করলে হবে না। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”

    মো. হাবিবুর রহমান মন্তব্য করেন, “শুধু বহিষ্কার নয়, তরুণ সমাজকে কথায় কথায় রাজাকার বা রাজাকারের বাচ্চা বলার অপরাধে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে।” সেলিম আবু রেজা লিখেছেন, “বিএনপিকে টেনে নামাতে চাইছে তার কথাবার্তার কারণে। চব্বিশের গণআন্দোলনের সার্থকতা নিয়ে মানুষ হতাশ। মানুষ ভাবছে শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছে, চোখ দিয়েছে। বিএনপি কি এর বিরুদ্ধে ছিল? অথচ উন্মাদ ফজলে প্রকাশ্যে দলের নীতি আদর্শের বিরোধিতা করছে। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?”

    নুরুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, “এই পাগলকে দল থেকে বহিষ্কার করে পাবনা পাঠানো হোক। তারপর চিকিৎসা শেষে চিড়িয়াখানায় রেখে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।”
    এদিকে বিএনপির পাঠানো কারণ দর্শানোর চিঠিতে ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, তিনি জুলাই–আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এতে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতি কলঙ্কিত হচ্ছে এবং বক্তব্য দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ফজলুর রহমানের বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবে অনেকেই মনে করছে। তিনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করছেন। জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশ’ নেতাকর্মীসহ দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হন, গুরুতর আহত হন ত্রিশ হাজারেরও বেশি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ছাত্র–জনতার এই আত্মত্যাগকে ফজলুর রহমান বারবার অপমান ও অমর্যাদা করছেন।

    সেই কারণে চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, এ ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফজলুর রহমানকে স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার দাবি নেটিজেনদের

    আপডেট সময় ০৭:০৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

    বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

    রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই দাবি জানাতে থাকেন তারা। এর আগে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ফজলুর রহমানকে শোকজ করে বিএনপি। দলের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শোকজের খবরটি ফেসবুক পেজে শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ফটোকার্ডের মন্তব্য ঘরে একের পর এক প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

    অধিকাংশ মন্তব্যে ফজলুর রহমানকে কেবল বহিষ্কার নয়, আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও তোলা হয়। সেলিম উল্লাস নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শোকজ করলে হবে না। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”

    মো. হাবিবুর রহমান মন্তব্য করেন, “শুধু বহিষ্কার নয়, তরুণ সমাজকে কথায় কথায় রাজাকার বা রাজাকারের বাচ্চা বলার অপরাধে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে।” সেলিম আবু রেজা লিখেছেন, “বিএনপিকে টেনে নামাতে চাইছে তার কথাবার্তার কারণে। চব্বিশের গণআন্দোলনের সার্থকতা নিয়ে মানুষ হতাশ। মানুষ ভাবছে শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হাজারো মানুষ জীবন দিয়েছে, চোখ দিয়েছে। বিএনপি কি এর বিরুদ্ধে ছিল? অথচ উন্মাদ ফজলে প্রকাশ্যে দলের নীতি আদর্শের বিরোধিতা করছে। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?”

    নুরুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, “এই পাগলকে দল থেকে বহিষ্কার করে পাবনা পাঠানো হোক। তারপর চিকিৎসা শেষে চিড়িয়াখানায় রেখে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।”
    এদিকে বিএনপির পাঠানো কারণ দর্শানোর চিঠিতে ফজলুর রহমানকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, তিনি জুলাই–আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এতে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতি কলঙ্কিত হচ্ছে এবং বক্তব্য দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি।

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ফজলুর রহমানের বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ হিসেবে অনেকেই মনে করছে। তিনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করছেন। জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশ’ নেতাকর্মীসহ দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহীদ হন, গুরুতর আহত হন ত্রিশ হাজারেরও বেশি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ছাত্র–জনতার এই আত্মত্যাগকে ফজলুর রহমান বারবার অপমান ও অমর্যাদা করছেন।

    সেই কারণে চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, এ ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার জবাব আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।