ময়মনসিংহে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

- আপডেট সময় ০১:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহে বজ্রপাতে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতে মারা গেছে আরও দুইটি গরু। জেলার গফরগাঁও, নান্দাইল ও ফুলবাড়িয়ায় শনিবার (৩১ মে) দুপুর ও বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাঁচবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ লামকাইন গ্রামের কারি মো. হযরত আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৩২), নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ হযরত আলীর ছেলে মো. সাইদুল হক (১২) ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ গ্রামের মৃত ইউনূস আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৮)। এর মধ্যে সোহাগ মিয়া কৃষিকাজসহ গরু লালনপালন করতেন ও শফিকুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দক্ষিণ লামকাইন গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের চরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে গিয়েছিলেন সোহাগ মিয়া। দুপুর দেড়টার দিকে একটি গাভি ও একটি বকনা বাছুর নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোহাগসহ সঙ্গে থাকা দুই গরু।
অপরদিকে একই সময়ে বাড়ির পাশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে খেলা করছিল শিশু সাইদুল হক। এসময় বজ্রপাতে অচেতন হয়ে যায় সে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এছাড়া রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন শফিকুল ইসলাম। বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির পাশে আমগাছ পর্যন্ত আসতেই বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
নিহত শফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই মো. আসাদুজ্জামান আরিফ বলেন, শফিকুল ইসলাম বিদ্যানন্দ ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার সাবেক দপ্তরি মৃত ইউনূস দপ্তরির দ্বিতীয় ছেলে। রাত ১০টায় তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজন মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে বলে জানিয়েছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ও ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান।