যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে আজ থেকে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর

- আপডেট সময় ০১:১৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এই সময়সীমার আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেসব পণ্য জাহাজীকরণ হয়েছে, সেগুলো এই বাড়তি শুল্ক এড়াতে পেরেছে। ফলে গত কয়েকদিন ধরে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য আগেভাগে রপ্তানির জন্য কারখানাগুলো সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রমুখী পণ্যবোঝাই ট্রাক ও লরিগুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে বন্দরে প্রবেশ এবং দ্রুত পণ্য ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ কনটেইনার অতিরিক্ত রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, উৎপাদনের শেষ পর্যায়ে থাকা পণ্যের একটি বড় অংশ ১ আগস্টের আগেই জাহাজে তোলা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর শুল্কহার ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও, সমঝোতার মাধ্যমে তা বর্তমানে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কে নেমে এসেছে। তবে এতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ৩৫ শতাংশেরও বেশি, কারণ আগে থেকেই গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, তৈরি পোশাকে যা ছিল ১৬.৫ শতাংশ।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শুল্ক কমাতে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন কনটেইনার ডিপোতে গত এক সপ্তাহ ধরে অতিরিক্ত পণ্য জমা হচ্ছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫,৪০০টি ২০ ফুটের রপ্তানি কনটেইনার সেখানে জমা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রগামী পণ্য। গত জুলাই মাসে চট্টগ্রামের বেসরকারি ডিপো থেকে প্রায় ৯৯ হাজার কনটেইনার রপ্তানির জন্য আনা হয়, যার মধ্যে ৮১ হাজার কনটেইনার রপ্তানি হয়েছে।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, যারা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা ১ আগস্টের আগেই পণ্য জাহাজীকরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণেই জুলাই মাসে রপ্তানিতে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৯৬ কোটি মার্কিন ডলারের, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮২ কোটি ডলার। এর প্রায় ৬০ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন শুল্ক কাঠামোয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ২০ শতাংশ কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে সেই পণ্যে পাল্টা শুল্ক ছাড়ের সুযোগ থাকায় তুলা-নির্ভর বাংলাদেশি পোশাক খাত কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেতে পারে। এই সুবিধাকে কাজে লাগাতে সরকার ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে।