ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের কন্যাশিশু খুন

    Jesmin Sultana Mala
    • আপডেট সময় ০৩:১৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    রংপুরের তারাগঞ্জে এক মায়ের হাতে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র ৫ মাসের কন্যাশিশু। সোমবার ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কান্নাকাটি করায় দাদি পাতানী রানী নাতনীকে মা তুলসি রানীর হাতে দুধ খাওয়ানোর জন্য তুলে দেন।

    কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তুলসি রানী।

    পরে রক্তাক্ত শিশুকে স্বামী বাবু লালের হাতে তুলে দেন তিনি।

    খবর শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘাতক মাকে আটক করে রাখেন।
    হতভম্ব স্বামী বাবু লাল বলেন, মাসখানেক ধরে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় মেয়ে শাশুড়ির কাছেই ছিল।

    ভোরে দুধ খাওয়ার জন্য কান্না করায় স্ত্রীর হাতে দেন।

    কিন্তু যে এভাবে মৃত্যু হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি।শিশুটির দাদি পাতানী রানী জানান, বউমা দুধ খাওয়াবে ভেবেই শিশুকে দেন তিনি।

    কিন্তু কিছুক্ষণ পর ছেলেকে রক্তাক্ত শিশু হাতে কাঁদতে দেখেন।

    এদিকে আটক তুলসি রানী ঘটনার পর সাংবাদিকদের সামনে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন।

    প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

    কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সবিত্রী সেনও জানান, নিহত শিশুর মা মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

    তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে এবং তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

    স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রংপুরে মায়ের হাতে ৫ মাসের কন্যাশিশু খুন

    আপডেট সময় ০৩:১৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    রংপুরের তারাগঞ্জে এক মায়ের হাতে প্রাণ হারিয়েছে মাত্র ৫ মাসের কন্যাশিশু। সোমবার ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কান্নাকাটি করায় দাদি পাতানী রানী নাতনীকে মা তুলসি রানীর হাতে দুধ খাওয়ানোর জন্য তুলে দেন।

    কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তুলসি রানী।

    পরে রক্তাক্ত শিশুকে স্বামী বাবু লালের হাতে তুলে দেন তিনি।

    খবর শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘাতক মাকে আটক করে রাখেন।
    হতভম্ব স্বামী বাবু লাল বলেন, মাসখানেক ধরে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় মেয়ে শাশুড়ির কাছেই ছিল।

    ভোরে দুধ খাওয়ার জন্য কান্না করায় স্ত্রীর হাতে দেন।

    কিন্তু যে এভাবে মৃত্যু হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি।শিশুটির দাদি পাতানী রানী জানান, বউমা দুধ খাওয়াবে ভেবেই শিশুকে দেন তিনি।

    কিন্তু কিছুক্ষণ পর ছেলেকে রক্তাক্ত শিশু হাতে কাঁদতে দেখেন।

    এদিকে আটক তুলসি রানী ঘটনার পর সাংবাদিকদের সামনে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন।

    প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।

    কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সবিত্রী সেনও জানান, নিহত শিশুর মা মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

    তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক বলেন, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে এবং তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

    স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।