ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

    টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়লেন রশিদ খান, ৬৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

    আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস মাঠে অনুষ্ঠিত ‘দ্য হান্ড্রেড ২০২৫’-এর প্রথম ম্যাচেই গড়লেন নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড। ওভাল ইনভিনসিবলসের হয়ে খেলতে নামা এই লেগ স্পিনার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ছুঁলেন ৬৫০ উইকেটের অসাধারণ মাইলফলক

    মঙ্গলবারের ম্যাচে রশিদ খান মাত্র ২০ বল করে ১১ রানে নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার শিকার হন লন্ডন স্পিরিটের ব্যাটসম্যান ওয়েন ম্যাডসেন, রায়ান হিগিন্স এবং লিয়াম ডসন। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই তিনি নিজের টি-টোয়েন্টি উইকেট সংখ্যা নিয়ে যান ৬৫১-এ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে রশিদের পরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েইন ব্রাভো (৬৩১), সুনীল নারাইন (৫৮৯), দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (৫৪৭) এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (৪৯৮)। কিন্তু প্রথম ৬৫০ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন একমাত্র রশিদই।

    ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে রশিদ খান বলেন, “জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারা দারুণ। দলের হয়ে ভালো কিছু করতে পারলে সবসময়ই ভালো লাগে।” আইপিএল শেষে বিশ্রামে থাকায় রশিদ মেজর লীগ ক্রিকেট খেলেননি। তবে কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের ঘরোয়া শপাগিজা ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছিলেন। এতদিন খেলার বাইরে থাকায় ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।

    রশিদ বলেন, “শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে সময় লেগেছে। গত কয়েক মাসে খুব বেশি বল করিনি। তবে গত ১০ বছরে আমি যতো ক্রিকেট খেলেছি, তার অভিজ্ঞতা এবার কাজে দিয়েছে।” পিচের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পিচে টার্ন ছিল, তাই আমি সঠিক জায়গায় বল করতে মনোযোগ দিয়েছি। বৈচিত্র্য আনতে চেয়েছিলাম, সেটাই ভালো কাজে দিয়েছে। এ ধরনের দ্রুত গতির টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা অনেক বড় ভূমিকা রাখে।”

    রশিদের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার স্যাম কারানও, যিনি ১৮ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তাদের দুর্বার বোলিংয়ে লন্ডন স্পিরিট অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৮০ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ওভাল ইনভিনসিবলস দারুণ জয় তুলে নেয় এবং শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী সূচনা করে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়লেন রশিদ খান, ৬৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ

    আপডেট সময় ০৭:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

    আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার। লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস মাঠে অনুষ্ঠিত ‘দ্য হান্ড্রেড ২০২৫’-এর প্রথম ম্যাচেই গড়লেন নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড। ওভাল ইনভিনসিবলসের হয়ে খেলতে নামা এই লেগ স্পিনার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ছুঁলেন ৬৫০ উইকেটের অসাধারণ মাইলফলক

    মঙ্গলবারের ম্যাচে রশিদ খান মাত্র ২০ বল করে ১১ রানে নেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার শিকার হন লন্ডন স্পিরিটের ব্যাটসম্যান ওয়েন ম্যাডসেন, রায়ান হিগিন্স এবং লিয়াম ডসন। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই তিনি নিজের টি-টোয়েন্টি উইকেট সংখ্যা নিয়ে যান ৬৫১-এ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টিতে রশিদের পরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়েইন ব্রাভো (৬৩১), সুনীল নারাইন (৫৮৯), দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (৫৪৭) এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (৪৯৮)। কিন্তু প্রথম ৬৫০ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন একমাত্র রশিদই।

    ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে রশিদ খান বলেন, “জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারা দারুণ। দলের হয়ে ভালো কিছু করতে পারলে সবসময়ই ভালো লাগে।” আইপিএল শেষে বিশ্রামে থাকায় রশিদ মেজর লীগ ক্রিকেট খেলেননি। তবে কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের ঘরোয়া শপাগিজা ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছিলেন। এতদিন খেলার বাইরে থাকায় ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।

    রশিদ বলেন, “শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে সময় লেগেছে। গত কয়েক মাসে খুব বেশি বল করিনি। তবে গত ১০ বছরে আমি যতো ক্রিকেট খেলেছি, তার অভিজ্ঞতা এবার কাজে দিয়েছে।” পিচের আচরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পিচে টার্ন ছিল, তাই আমি সঠিক জায়গায় বল করতে মনোযোগ দিয়েছি। বৈচিত্র্য আনতে চেয়েছিলাম, সেটাই ভালো কাজে দিয়েছে। এ ধরনের দ্রুত গতির টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা অনেক বড় ভূমিকা রাখে।”

    রশিদের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার স্যাম কারানও, যিনি ১৮ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তাদের দুর্বার বোলিংয়ে লন্ডন স্পিরিট অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৮০ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ওভাল ইনভিনসিবলস দারুণ জয় তুলে নেয় এবং শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী সূচনা করে।