রিয়ালকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজি

- আপডেট সময় ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে একপ্রকার ‘ঘরের মাঠের’ পরিবেশে খেলতে নামলেও, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের দাপটে প্রথম থেকেই ছন্দ হারায় লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নেয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মাত্র ৯ মিনিটের মধ্যেই দুই দফা গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। এরপর পুরো ম্যাচেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জাবি আলোনসোর দল। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের যাত্রা শুরু হলেও, ইউরোপ ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ট্রফিহীন একটি অগোছালো মৌসুম কাটানো দলটি নতুন কৌশল ও ফরমেশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। অভিজ্ঞতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি স্পষ্ট ছিল পুরো ম্যাচজুড়ে।
ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই রিয়াল দলে বড় ধাক্কা আসে। কার্ডজনিত কারণে ডিফেন্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডিন হুইজসেন অনুপস্থিত ছিলেন এবং ইনজুরির কারণে বাদ পড়েন নতুন সাইনিং ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। এতে করে রক্ষণভাগে বড় ভাঙন দেখা দেয়।
প্রথমার্ধে ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় পিএসজি। রিয়ালের ডিফেন্ডার রাউল অ্যাসেনসিও বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং দেম্বেলেকে সুযোগ দেন, যিনি বল বাড়িয়ে দেন ফ্যাবিয়ান রুইজকে। রুইজ সহজেই বল জালে পাঠান। এরপর তিন মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল হজম করে রিয়াল। এবার ভুল করেন অ্যান্টনিও রুডিগার, যার ব্যাকপাস দেম্বেলের পায়ে গিয়ে পৌঁছায় এবং তিনি আড়াআড়ি শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২৪তম মিনিটে আসে তৃতীয় গোল। পিএসজির ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির দারুণ পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন রুইজ। এই সময় রিয়াল বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়; প্রথমার্ধে তাদের পজেশন ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
বিরতির পর শুরুতেই একবার বল জালে জড়ালেও পিএসজির গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। তবে রিয়ালের ভাগ্য বদলায়নি। পিএসজির কোচ এনরিকে ধীরে ধীরে দেম্বেলে ও কাভারৎস্খেলিয়াকে তুলে নেন। তবুও রিয়াল আক্রমণে কোনো ধার আনতে পারেনি। শেষ দিকে লুকা মদ্রিচ ও দানি কারভাহাল নামলেও দলকে জাগিয়ে তুলতে পারেননি।
৮৮তম মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন গঞ্জালো রামোস। বদলি হিসেবে নামা এই ফরোয়ার্ড জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন। গোল উদযাপনে স্মরণ করেন তার স্বদেশি দিয়েগো জোতাকে। এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল পিএসজি।
মাসখানেক আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা কোচ লুইস এনরিকের সামনে আরও একটি বড় ট্রফি জয়ের সুযোগ তৈরি হলো। এর আগে ২০১৬ সালে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে একবারের চ্যাম্পিয়ন চেলসি। রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই জায়ান্ট।