রোহিঙ্গারা এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, চেয়ারম্যানের ফেসবুকে স্ট্যাটাস

- আপডেট সময় ০১:০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি নিজেকে ‘দেশদ্রোহী নন, রোহিঙ্গাবিরোধী’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তার এই ইউনিয়নেই ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা ঢলের সময় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আটটি এই ইউনিয়নে অবস্থিত। এছাড়া, ক্যাম্পের বাইরেও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা গ্রামের ঘরবাড়ি ও পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের বাসিন্দা ৫০ হাজার হলেও সেখানে অবস্থান করছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের কারণে তার এলাকার বাসিন্দারা স্বাভাবিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি দুই মাস আগে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা স্থানীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে এবং আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া কোনোভাবেই সমীচীন হবে না, বরং আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করাই এখন জরুরি। উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন তাদের ‘গলার কাঁটা‘ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং নিজ এলাকায় সবসময় রোহিঙ্গা সংক্রান্ত কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন মহেলাল উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এর কারণে কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং স্থানীয়দের সামাজিক ও নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাজারব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
মহেলাল উদ্দিনের মতে, সরকারে অতি গুরুত্ব সহকারে এই সমস্যার একটি বাস্তবভিত্তিক সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা উচিত, কারণ চুরি, ডাকাতি, ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে রোহিঙ্গারা জড়িত।