সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন, খুঁটি, ইট খুলে নিলেন ইমাম

- আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সুদের টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় এক ইমামের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে মূল অভিযুক্ত মসজিদের খতিব আমানউল্লাহ মুন্সি এখনও পলাতক।
নালিতাবাড়ী উপজেলার জামিরাকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রিতা বেগম জানান, গ্রামের খতিব আমানউল্লাহ মুন্সির কাছ থেকে তিনি শতকরা ১০ টাকা হারে মাসিক সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
নিয়মিত কিস্তি ও মূলধনের অংশ পরিশোধ করলেও ইমাম আরও ৮০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন।
আমি যত টাকা দিয়েছি, তারপরও সে আরও টাকার দাবি করছিল।
টাকা না দিতে পারায় ঢাকায় চলে যাই স্বামীর কাছে।
পরে শুনি, আমার বাড়ি ভেঙে সব নিয়ে গেছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিতা ঢাকায় যাওয়ার পর খতিব আমানউল্লাহ ও তার সহযোগীরা দুই দিন ধরে তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
ঘরের টিন, কাঠ, খুঁটি, নলকূপ, রান্নাঘর এমনকি মেঝের ইট পর্যন্ত খুলে নেওয়া হয়।
রিতা বেগমের বাড়ীতে এভাবে দুই দিন ধরে ভাঙচুর চলেছে।
কেউ থামাতে গেলে তাদেরও ভয় দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রিতা বেগম ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— সুফিয়া বেগম, বাবুল মিয়া, নয়ন মিয়া, এবং খাদিজা বেগম।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন:মামলার ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মূল অভিযুক্ত আমানউল্লাহ মুন্সিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় ধর্মীয় পরিচয়ের আড়ালে আমানউল্লাহ সুদের ব্যবসা ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তবে স্থানীয়রা ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি।
গ্রামীণ সমাজে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের নামে এমন অভিযোগে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
 
 













