হেলথ কনক্লেভ-এ চিকিৎসকের অসৌজন্যমূলক আচরণের নিন্দা জানাল এনডিএফ

- আপডেট সময় ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্যের সময় একজন চিকিৎসকের অসৌজন্যমূলক ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মাধ্যমে বক্তব্যে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।
রোববার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম এবং জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে এনডিএফ নেতারা বলেন, “এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এর মাধ্যমে চিকিৎসক সমাজের সম্মান ও পেশাদারিত্ব ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।” তারা আরও বলেন, একজন চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত দায়বদ্ধতা, বিনয় এবং সম্মান রক্ষা করা উচিত।
এনডিএফ নেতারা জানান, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা শুধু পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে নয়, মানবিকতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে আসছেন। তারা উল্লেখ করেন যে, কিছু নীতি-নৈতিকতাহীন ওষুধ কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফার জন্য কিছু চিকিৎসককে প্রলুব্ধ করতে পারলেও, সেই মুষ্টিমেয় চিকিৎসক বাংলাদেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন না। অধিকাংশ চিকিৎসক তাদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা প্রদান করে।
এনডিএফ নেতারা বলেন, তারা ভবিষ্যতেও চিকিৎসকদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সংগঠনটি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন, চিকিৎসকদের অধিকার সংরক্ষণ এবং জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে। তারা আরও জানায়, দেশের চিকিৎসক সমাজ ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র তারা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য চলাকালীন একজন চিকিৎসক তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। চিকিৎসকের এমন আচরণে পরিস্থিতি শান্ত করতে সভায় উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান এগিয়ে আসেন। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত ওই চিকিৎসক সভাস্থল ত্যাগ করেন। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়।























