ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতের উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৪, নিখোঁজ অন্তত ৫০

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে ভয়াবহ মেঘ ভাঙনের ফলে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ঘটে যাওয়া এই দুর্যোগের পর থেকে উদ্ধারকারী দলগুলো নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে।

    স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ধরালী গ্রামে পৌঁছেছে। এলাকাটিকে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল জলরাশি এলাকা প্লাবিত করছে এবং ভবনগুলো মুহূর্তেই ধসে পড়ছে। ধরালী একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা, যেখানে অনেক হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, তার চোখের সামনে একাধিক হোটেল ভেসে গেছে, অথচ আগাম কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    দুর্যোগের কারণে উত্তরাখণ্ড রাজ্যজুড়ে অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিধস ও বৃষ্টির কারণে পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক, সাতটি রাজ্য মহাসড়ক এবং দুটি সীমান্ত সড়কসহ অন্তত ১৬৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হিমাচল প্রদেশেও দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে। কিন্নৌরের নিগুলসারির কাছে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং শিমলার চাক্কি মোড় হয়ে চণ্ডীগড়-শিমলা মহাসড়ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভূমিধসের কারণে। সোলান জেলার পারওয়ানুর কাছেও ধ্বংসাবশেষ পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

    ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মেঘ ভাঙন ও ভূমিধসে তাদের একটি সেনা ক্যাম্প এবং কয়েকটি উদ্ধারকারী দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, মেঘ ভাঙন একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক ঘটনা, যেখানে স্বল্প সময়ে সীমিত এলাকায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায়শই ধস ও আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ভারতের উত্তরাখণ্ডে আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৪, নিখোঁজ অন্তত ৫০

    আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশী জেলার ধরালী গ্রামে ভয়াবহ মেঘ ভাঙনের ফলে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৫০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ঘটে যাওয়া এই দুর্যোগের পর থেকে উদ্ধারকারী দলগুলো নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে।

    স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ধরালী গ্রামে পৌঁছেছে। এলাকাটিকে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল জলরাশি এলাকা প্লাবিত করছে এবং ভবনগুলো মুহূর্তেই ধসে পড়ছে। ধরালী একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা, যেখানে অনেক হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দা আস্থা পাওয়ার জানিয়েছেন, তার চোখের সামনে একাধিক হোটেল ভেসে গেছে, অথচ আগাম কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    দুর্যোগের কারণে উত্তরাখণ্ড রাজ্যজুড়ে অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিধস ও বৃষ্টির কারণে পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক, সাতটি রাজ্য মহাসড়ক এবং দুটি সীমান্ত সড়কসহ অন্তত ১৬৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    এছাড়া, পার্শ্ববর্তী হিমাচল প্রদেশেও দুর্যোগের প্রভাব পড়েছে। কিন্নৌরের নিগুলসারির কাছে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং শিমলার চাক্কি মোড় হয়ে চণ্ডীগড়-শিমলা মহাসড়ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভূমিধসের কারণে। সোলান জেলার পারওয়ানুর কাছেও ধ্বংসাবশেষ পড়ে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

    ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মেঘ ভাঙন ও ভূমিধসে তাদের একটি সেনা ক্যাম্প এবং কয়েকটি উদ্ধারকারী দলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, মেঘ ভাঙন একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক ঘটনা, যেখানে স্বল্প সময়ে সীমিত এলাকায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায়শই ধস ও আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে।