ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

    সাবেক ৩ গভর্নর ও ৪ ডেপুটি গভর্নরসহ পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বুধবার ব্যাংকগুলোকে এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও মাসুদ বিশ্বাস এবং তাদের পরিবারের হিসাবও তলব করা হয়েছে।

    ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এসব কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে অর্থ লোপাটে সহায়তা, টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লোপাটের সুযোগ দেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা দেওয়া এবং আর্থিক নীতি শিথিল করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

    যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে
    যাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয় এবং তা আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদেও অব্যাহত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমেও অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।

    এছাড়াও সাবেক যেসব ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা হলেন: এস কে সুর চৌধুরী (যিনি দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে), এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান এবং আবু ফরাহ মো. নাছের। এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা দেওয়ার এবং আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আছে।

    বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান এবং মো. মাসুদ বিশ্বাসের (যিনি সরকার পতনের পর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং বর্তমানে দুদকের মামলায় কারাগারে) পরিবারের হিসাবও তলব করা হয়েছে। সকল ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। বন্ধ থাকা হিসাবের তথ্যও জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সাবেক ৩ গভর্নর ও ৪ ডেপুটি গভর্নরসহ পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব

    আপডেট সময় ০৬:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি তাদের স্ত্রী, সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বুধবার ব্যাংকগুলোকে এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। এছাড়া বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও মাসুদ বিশ্বাস এবং তাদের পরিবারের হিসাবও তলব করা হয়েছে।

    ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এসব কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে অর্থ লোপাটে সহায়তা, টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লোপাটের সুযোগ দেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা দেওয়া এবং আর্থিক নীতি শিথিল করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

    যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে
    যাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয় এবং তা আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদেও অব্যাহত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমেও অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।

    এছাড়াও সাবেক যেসব ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তারা হলেন: এস কে সুর চৌধুরী (যিনি দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে), এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান এবং আবু ফরাহ মো. নাছের। এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ সুবিধা দেওয়ার এবং আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আছে।

    বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান এবং মো. মাসুদ বিশ্বাসের (যিনি সরকার পতনের পর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং বর্তমানে দুদকের মামলায় কারাগারে) পরিবারের হিসাবও তলব করা হয়েছে। সকল ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। বন্ধ থাকা হিসাবের তথ্যও জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।