মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের

- আপডেট সময় ০৩:১৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে জরিপ চালিয়ে মৎস্য আহরণের সঠিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং এর জন্য গবেষণার পরিমাণ বাড়ানো জরুরি। আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও আমরা তা এখনো পুরোপুরি আহরণ করতে পারিনি। তিনি এই ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দেন এবং বলেন, “মাছের সম্ভাবনা প্রচুর, আবার দুর্ভাবনাও প্রচুর।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, চাষের মাছের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে এবং অনেক তরুণ উদ্যোক্তা এই খাতে এগিয়ে আসছেন। বর্তমানে আমিষের চাহিদা পূরণে চাষের মাছের অবদান অনেক বেশি। তিনি ইলিশ মাছের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা মানলে মাছের প্রাপ্তি বাড়বে এবং তা দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, “মাছ আমাদের জন্য প্রকৃতির একটি উপহার, এটি আল্লাহর দান। কিন্তু আমরা প্রকৃতির প্রতি অত্যন্ত নির্মম। সব বর্জ্য আমরা পানির দিকে দিয়ে দিচ্ছি। আমরা নদী শাসনের কথা বলি, কিন্তু নদী পালনের কথা কেউ বলে না। এতে আরও ক্ষতি হচ্ছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আমরা যদি নির্দয় হতে থাকি, তাহলে মাছও আমাদের কপাল থেকে চলে যেতে পারে।
ড. ইউনূস মৎস্য শিল্পকে একটি ইন্ড্রাস্টি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এজন্য বিশ্বমানের বিশেষজ্ঞদের গবেষণাকে কাজে লাগানোর কথা বলেন। তিনি জানান, এই সম্পদ মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে বন্ধু দেশগুলোর সাথে আলোচনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষার বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধরা, জলাশয় দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে টেকসই পদ্ধতি আবিষ্কারের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে স্বর্ণপদক, ৫ জনকে রৌপ্যপদক এবং ২ জনকে ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়।