রুশ ভূখণ্ডে হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট সময় ০১:৪২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর জন্য মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতিফলন, যা সংঘাত হ্রাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত তিন-চার মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভেতরে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য বেশ কয়েকবার অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং সামরিক কমান্ড এই অনুমতি দেয়নি। উল্লেখ্য, এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক কমান্ডের অনুমতি নেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি কারণে এই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না:
সংঘাত হ্রাস: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে সংঘাতের মাত্রা কমানোর পক্ষে।
শান্তি স্থাপন: ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, যদি ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামলা শুরু করে, তাহলে যুদ্ধাবসানের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যাবে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসান তার অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। গত মে মাস থেকে তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপ চলছে।
এছাড়াও, ট্রাম্প গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এবং ১৮ আগস্ট হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকের পর ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন যে, শিগগিরই এই যুদ্ধের অবসান হবে।