ঢামেকে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৬ নবজাতকের চারজন মারা গেছে

- আপডেট সময় ০৩:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রাতে দুইজন এবং আজ সোমবার ভোরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তারা জানিয়েছে, হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিএইচই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুজন মারা যায়।
রাতে ও আজ মারা যাওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে ছিল।
এরআগে গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের লেবার ওয়ার্ডে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোকসেদা আক্তার প্রিয়া (২৩) একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দেন।
নবজাতকগুলোর তিনটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে।
আজ সকালে প্রিয়ার ননদ ফারজানা আক্তার জানান,
জন্ম নেওয়া ৬ নবজাতকের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলের এনআইসিইউতে এবং বাকিদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়।
এরমধ্যে গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।তিনি জানান,
এখন পর্যন্ত নীলক্ষেত এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে দুইটি কন্যা নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
নবজাতগুলোর মা মোকসেদা আক্তার প্রিয়া সুস্থ আছেন।
ফারজানা আক্তার আরও জানান, প্রিয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. হানিফের স্ত্রী।
তার গর্ভধারণের ২৭ সপ্তাহ চলছিল।
আলট্রাসোনোগ্রাফিতে পাঁচ সন্তান থাকার কথা জানা গেলেও, শেষ পর্যন্ত ছয় নবজাতকের জন্ম হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইউনিট-১ এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, ২৭ সপ্তাহে প্রিম্যাচিউর ডেলিভারিতে এ ধরনের নবজাতককে মেডিকেল টার্মে ইনএবিটেবল অ্যাবোশন বলা হয়।
প্রতিটি শিশুর ওজন মাত্র ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মতো।তিনি আরও জানান, প্রিয়ার আগে একটি পূর্ণাঙ্গ সন্তান জন্ম হলেও সেটি প্রসবকালেই মারা যায়।