দাফনের সময় আজানের শব্দে নড়ে উঠলো নবজাতক,

- আপডেট সময় ০৩:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
এক নবজাতককে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুরে।
স্থানীয়রা জানায় জীবিত ওই নবজাতককে মৃত বলে পৌর কবরস্থানের কবর খোদককে দিয়ে যায় এক পুরুষ।
দাফনের সময় আজানের শব্দে নড়ে উঠে শিশুটি। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে|
জানা গেছে, রোববার দুপুরে দিকে ওই নবজাতককে কার্টনে ঢুকিয়ে নিয়ে আসে অজ্ঞাত এক যুবক।
এসময় শিশুটি নিথর ছিল এবং ওই যুবক জানায় শিশুটি মৃত।
নবজাতকটিকে দাফনের কথা বলে গোরোস্থান ত্যাগ করে ওই যুবক।
পরে দাফনের আগ মুহূর্তে আজান দিলে নড়েচড়ে উঠে শিশুটি।
খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা নবজাতককে শহরের ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান।
দ্রুত এনআইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে শিশুটির মৃত্যু হয়|
এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে হাসপাতালে ভিড়ও জমিয়েছিলেন।
পৌর কবরস্থানের কবর খোদক শাহজাহান জানান, দুপুরে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক ব্যক্তি একটি কার্টনে করে শিশুকে দিয়ে যায়।
শিশু মৃত, তাই দ্রুত কবরস্থ করার পরামর্শ দিয়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কবরস্থানের আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরা ও কাছাকাছি থাকা হোটেলের ফুটেজ পরীক্ষা করলে নবজাতককে ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
এ অমানবিক কাজে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ছেলে নবজাতকটিকে আমরা তাৎক্ষণিক এনআইসিইউতে রেখে চিকিৎসা শুরু করি।
তবে সবরকম চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার জানান, শিশুটির ওজন ৮০০ গ্রাম।
রোববার জন্ম হয়েছে। প্রথমে অক্সিজেন লেভেল কম ছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয়সহ সবার অনুরোধ ও পরামর্শ অনুযায়ী ময়নাতদন্ত করা হয়নি। রোববার রাতে নবজাতকের জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।