৬৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক পর্তুগিজ ক্রিকেটারের

- আপডেট সময় ০২:৪৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৮ বার পড়া হয়েছে
৪০ পেরোলেই যেখানে ক্রিকেটাররা অবসরের কথা ভাবেন, সেখানে ৬৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো জোয়ান্না চাইল্ডের। পর্তুগালের এই নারী ক্রিকেটার সম্প্রতি এক বিরল কীর্তি গড়ে ক্রিকেট বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
নরওয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পর্তুগাল নারী দলে অভিষেক হয় চাইল্ডের। এর মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বয়সে অভিষেক হওয়া খেলোয়াড় হিসেবে নিজের নাম লেখালেন। তিনি ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্ড্রু ব্রাউনলি (৬২ বছর ১৪৫ দিন) এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ম্যালি মুরকে (৬২ বছর ২৫ দিন) পেছনে ফেলেছেন। গত ৭ এপ্রিল তার অভিষেক হয়।
তবে জিব্রাল্টারের স্যালি বার্টনের রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বার্টন ৬৬ বছর ৩৩৪ দিনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেক করেছিলেন।
অদম্য মানসিকতার অধিকারী জোয়ান্না চাইল্ড নিজেকে প্রমাণ করার প্রবল আগ্রহ নিয়ে ক্রিকেটে এলেও, সিরিজে তেমন সুযোগ পাননি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি মাত্র ২ রান করেন এবং পরের দুটি ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগই পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৪ বল করে ১১ রান দেন, কিন্তু কোনো উইকেট লাভ করতে পারেননি।
জোয়ান্নার অন্য কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার রেকর্ড না থাকলেও, এই বয়সেও তার খেলার অদম্য ইচ্ছা ও মানসিকতা অনেককেই মুগ্ধ করেছে। পর্তুগাল দলের ৪৪ বছর বয়সী অধিনায়ক সারাহ ফু-রাইল্যান্ড তাকে দেশের অনেক ক্রিকেটারের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মজার ব্যাপার হলো, এই পর্তুগাল দলে ১৫ ও ১৬ বছর বয়সী খেলোয়াড়ও রয়েছে।
১৫ বছর বয়সী ইশরীত চিমা, ১৬ বছর বয়সী মারিয়াম ওয়াসিম এবং আফশিন আহমেদের মতো তরুণ খেলোয়াড়রাও এই সিরিজে পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন, যা দলটিতে ব্যতিক্রমধর্মী অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এক সুন্দর সমন্বয় ঘটিয়েছে।
সিরিজটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। প্রথম ম্যাচে পর্তুগাল ১০৯ রান করে ১৬ রানে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে নরওয়ে ১৩৭ রানের লক্ষ্য ৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে সিরিজে সমতা আনে। তবে শেষ ম্যাচে পর্তুগাল নারী দল ১২৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জিতে নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।