০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ায় ওসির যা হলো …

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন ‘জিলাপি খাওয়ার’ দাবি করে এখন আলোচনায়। আর এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে থানা থেকে সরিয়ে জেলা পুলিশের লাইনসে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার শুরু এক ফোনালাপে। যেখানে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে লাভ করা টাকা থেকে ওসি মনোয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইটনা উপজেলার সংগঠক আফজাল হুসাইন ওরফে শান্তকে ‘জিলাপি খাওয়াতে’ বলেন। অডিও ক্লিপে ওসি বলছেন:

“সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন। তোমরা ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ লাভ করলে, ১০ টাকার জিলাপিও তো খাওয়ালে না! আমি হলে সুদের ওপরে টাকা এনে আগে জিলাপি খাওয়াতাম।”

অডিওতে আরও শোনা যায়, ওসি বলেন:“ঠিক আছে, তাহলে আমি জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম, নাকি?”

এ সময় অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়— “শুধু জিলাপি না, অন্য কিছু?”

ওসি জবাব দেন: “না না, জিলাপি হলেই হবে। এক প্যাঁচ, আধা প্যাঁচ… পাবলিক খাইল আর কী।”

ফোনের অন্য প্রান্তে ছিলেন ছাত্রনেতা ও ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্ত জানান— তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পেয়েছিলেন। কাজ শেষে থানায় গেলে ওসি সরাসরি বলেন, লাভের টাকা থেকে ‘জিলাপি খাওয়াতে’ হবে। পরে ফোনে কথার সময় তিনি এই কথাগুলো রেকর্ড করেন।

ওসি মনোয়ার হোসেন অবশ্য বলেন— “আমি মজার ছলে কথা বলেছি। এটা দুই মাস আগের ঘটনা। ওই সময় আমার টাকায় মসজিদে জিলাপি বিতরণ চলছিল, তখন আফজালের ফোন আসে।”

তিনি দাবি করেন, এটা তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’।

তবে, অডিও ফাঁস এবং ওসির প্রত্যাহারের পর ইটনা উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ায় ওসির যা হলো …

আপডেট সময় ০১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ওসি মনোয়ার হোসেন ‘জিলাপি খাওয়ার’ দাবি করে এখন আলোচনায়। আর এই অডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে থানা থেকে সরিয়ে জেলা পুলিশের লাইনসে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার শুরু এক ফোনালাপে। যেখানে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে লাভ করা টাকা থেকে ওসি মনোয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইটনা উপজেলার সংগঠক আফজাল হুসাইন ওরফে শান্তকে ‘জিলাপি খাওয়াতে’ বলেন। অডিও ক্লিপে ওসি বলছেন:

“সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন। তোমরা ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ লাভ করলে, ১০ টাকার জিলাপিও তো খাওয়ালে না! আমি হলে সুদের ওপরে টাকা এনে আগে জিলাপি খাওয়াতাম।”

অডিওতে আরও শোনা যায়, ওসি বলেন:“ঠিক আছে, তাহলে আমি জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম, নাকি?”

এ সময় অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়— “শুধু জিলাপি না, অন্য কিছু?”

ওসি জবাব দেন: “না না, জিলাপি হলেই হবে। এক প্যাঁচ, আধা প্যাঁচ… পাবলিক খাইল আর কী।”

ফোনের অন্য প্রান্তে ছিলেন ছাত্রনেতা ও ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্ত জানান— তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পেয়েছিলেন। কাজ শেষে থানায় গেলে ওসি সরাসরি বলেন, লাভের টাকা থেকে ‘জিলাপি খাওয়াতে’ হবে। পরে ফোনে কথার সময় তিনি এই কথাগুলো রেকর্ড করেন।

ওসি মনোয়ার হোসেন অবশ্য বলেন— “আমি মজার ছলে কথা বলেছি। এটা দুই মাস আগের ঘটনা। ওই সময় আমার টাকায় মসজিদে জিলাপি বিতরণ চলছিল, তখন আফজালের ফোন আসে।”

তিনি দাবি করেন, এটা তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’।

তবে, অডিও ফাঁস এবং ওসির প্রত্যাহারের পর ইটনা উপজেলায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।