০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

দেশের রাজনীতিতে ট্রাম্প-শি-মোদি কিছুই করতে পারবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং ও ভারতের মোদী এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না। যা করার আমাদের করতে হবে।

রাজধানীতে ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা বহু মতবাদের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। তেমনি করে ২৪ সালে ছাত্রদের ওপর যখন গুলি চালায়, তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে আমাদের।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল সাত কোটি। সেই সময়ে আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন। এখন খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। আর এই খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছে দেশের কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীরা। যেটা আমরা মনে করি না, বুঝিও না।

তিনি বলেন, সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, গ্রামের যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারে পরিশ্রম করে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে, যে নারী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে। আমরা যদি তাদেরকে নিয়ে না ভাবি, তাহলে কোনোভাবেই দেশে এগিয়ে যাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে তাদেরকে নিয়ে ভাবি। তবেই দেশ গিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এইটুকু আশাবাদী আমি, আমরা সবাই যদি বিশ্বাস করি। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরকে ভাবতে হবে।

তিনি আরো বলনে, সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে। ড. ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমেদ (ভার্চুয়াল), যুক্তরাষ্ট্রের রোজান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর এ এস রশিদুজ্জামান, পররাষ্ট্র সচিব জসীমউদ্দীন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল হান্নান চৌধুরী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সালেহ শাহরিয়ার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রাশেদ তিতুমীর, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান, আমার বাংলাদেশ এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, চিলির অনারি কনসাল আসিফ এ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের রাজনীতিতে ট্রাম্প-শি-মোদি কিছুই করতে পারবে না

আপডেট সময় ০৩:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে আমেরিকা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং ও ভারতের মোদী এসে ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না। যা করার আমাদের করতে হবে।

রাজধানীতে ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা বহু মতবাদের মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করেছি। তেমনি করে ২৪ সালে ছাত্রদের ওপর যখন গুলি চালায়, তখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে সবাই এক হয়েছিল সেভাবে এক হয়ে কাজ করতে হবে আমাদের।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের লোকসংখ্যা ১৮ কোটি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লোকের সংখ্যা ছিল সাত কোটি। সেই সময়ে আমাদের খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৮ লাখ মেট্রিক টন। এখন খাদ্য ঘাটতি নেই বললেই চলে। আর এই খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছে দেশের কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীরা। যেটা আমরা মনে করি না, বুঝিও না।

তিনি বলেন, সবাই এখন ভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ট্যারিফ দিয়েছে তা দেশের জন্য একটু বিপদে পড়ার মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বাড়তি শুল্ক দ্রুত সমাধান করতে না পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, গ্রামের যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারে পরিশ্রম করে দেশকে নিয়ে যাচ্ছে, যে নারী মাত্র ১৫ হাজার টাকার বেতনে কাজ করে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে। আমরা যদি তাদেরকে নিয়ে না ভাবি, তাহলে কোনোভাবেই দেশে এগিয়ে যাবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে তাদেরকে নিয়ে ভাবি। তবেই দেশ গিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এইটুকু আশাবাদী আমি, আমরা সবাই যদি বিশ্বাস করি। দেশকে এগিয়ে নিতে ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদেরকে ভাবতে হবে।

তিনি আরো বলনে, সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে। ড. ইউনূস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ড. ইউনূস সফল হবেন। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমেদ (ভার্চুয়াল), যুক্তরাষ্ট্রের রোজান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর এ এস রশিদুজ্জামান, পররাষ্ট্র সচিব জসীমউদ্দীন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল হান্নান চৌধুরী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সালেহ শাহরিয়ার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. রাশেদ তিতুমীর, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান, আমার বাংলাদেশ এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, চিলির অনারি কনসাল আসিফ এ চৌধুরী, সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।