১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ভিসিকে অব্যাহতির ঘোষণার পর অনশন ভাঙলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনশনের মধ্যে অবশেষে (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটার দিকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সত্য কখনো হারে না। আমাদের বিজয় হয়েছে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে।

এর আগে, কুয়েটে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন ১৮ ফেব্রুয়ারি । এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

এই পরিস্থিতিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙাতে গেলেও ব্যর্থ হন। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ভিসিকে অব্যাহতির ঘোষণার পর অনশন ভাঙলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১২:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনশনের মধ্যে অবশেষে (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটার দিকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সত্য কখনো হারে না। আমাদের বিজয় হয়েছে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে।

এর আগে, কুয়েটে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন ১৮ ফেব্রুয়ারি । এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

এই পরিস্থিতিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙাতে গেলেও ব্যর্থ হন। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন।