যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মে মাসে সৌদি আরব সফর করবেন। এ সফরে তিনি সৌদি সরকারকে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির একটি বড় প্রস্তাব দেবেন বলে জানা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যে এই চুক্তির প্রস্তুতিও শুরু করেছে।

গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সৌদি আরবের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চেয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। এবার ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে আরও বড় অস্ত্র চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে। এই চুক্তিতে লকহিড মার্টিন, বোয়িং, নর্থরপ গ্রুমম্যানের মতো বড় অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিগুলো জড়িত থাকতে পারে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের সময় সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা তাদের নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে কাজ করছি।”

২০১৭ সালেও ট্রাম্প সৌদি আরবকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক জটিলতার কারণে চুক্তিটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন কংগ্রেস এই চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের ওপর অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, পরবর্তীতে ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। এখন ট্রাম্প আবারও বড় অস্ত্র চুক্তির পথে হাঁটছেন।

এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার সিস্টেম পাবে। তবে চুক্তিটি বাস্তবায়নের আগে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

সৌদি আরব ও হোয়াইট হাউস এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব আরও বাড়াবে।