ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশে নতুন ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

 গত শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে তাদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করেছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশ (iREG) সিস্টেমে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।

নতুন রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়কে পাঠানো এ চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে আবাসন সুবিধা তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থা করা কঠিন।

আরআরআরসি কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “ইউএনএইচসিআরের চিঠি পেয়েছি, কিন্তু এত বেশি রোহিঙ্গার জন্য নতুন করে ঘর তৈরির জায়গা আমাদের নেই। নতুন আবাসন ব্যবস্থা করলে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদেরও অনুপ্রবেশের উৎসাহ বাড়বে, যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করবে।”

কোথায় থাকছে নতুন রোহিঙ্গারা? 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছে। ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, শুধু গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার এবং আলাদাভাবে ৫ হাজার ৯৩০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদের মধ্যে ৫৩.৭৭% নারী ও বাকিরা পুরুষ।

কক্সবাজারের ২০টি ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গাদের অবস্থান বিস্তারিতভাবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে :

– ২৭ নম্বর ক্যাম্পে ৮,৩৬৮ জন

– ২৬ নম্বর ক্যাম্পে ৭,৭৭২ জন

– ২৪ নম্বর ক্যাম্পে ৬,৩৯৫ জন

– ৯ নম্বর ক্যাম্পে ৫,৯৫৫ জন

– ১২ নম্বর ক্যাম্পে ৫,৯৪০ জন

এভাবে আরো অনেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থসংকট 

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা সহায়তা কার্যক্রমে অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ইউএনএইচসিআরও নতুন আবাসন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত তহবিল পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, “সরকার অনুমতি দিলে দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বাড়তি তহবিল চাওয়া হবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে নতুন ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ 

আপডেট সময় ০১:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 গত শনিবার পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে তাদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করেছে।

এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশ (iREG) সিস্টেমে নিবন্ধনের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।

নতুন রোহিঙ্গাদের আবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়কে পাঠানো এ চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে আবাসন সুবিধা তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য আলাদা আবাসন ব্যবস্থা করা কঠিন।

আরআরআরসি কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “ইউএনএইচসিআরের চিঠি পেয়েছি, কিন্তু এত বেশি রোহিঙ্গার জন্য নতুন করে ঘর তৈরির জায়গা আমাদের নেই। নতুন আবাসন ব্যবস্থা করলে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদেরও অনুপ্রবেশের উৎসাহ বাড়বে, যা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করবে।”

কোথায় থাকছে নতুন রোহিঙ্গারা? 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছে। ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, শুধু গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার এবং আলাদাভাবে ৫ হাজার ৯৩০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদের মধ্যে ৫৩.৭৭% নারী ও বাকিরা পুরুষ।

কক্সবাজারের ২০টি ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গাদের অবস্থান বিস্তারিতভাবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে :

– ২৭ নম্বর ক্যাম্পে ৮,৩৬৮ জন

– ২৬ নম্বর ক্যাম্পে ৭,৭৭২ জন

– ২৪ নম্বর ক্যাম্পে ৬,৩৯৫ জন

– ৯ নম্বর ক্যাম্পে ৫,৯৫৫ জন

– ১২ নম্বর ক্যাম্পে ৫,৯৪০ জন

এভাবে আরো অনেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থসংকট 

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা সহায়তা কার্যক্রমে অর্থায়ন কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ইউএনএইচসিআরও নতুন আবাসন তৈরির জন্য পর্যাপ্ত তহবিল পাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, “সরকার অনুমতি দিলে দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বাড়তি তহবিল চাওয়া হবে।”