ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার, কারাগারে মৃত্যু 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

শিশু ও কিশোরদের ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুরের পূবাইল থানার হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম রহিজ উদ্দিন (৩৫) কারাগারে মারা গেছেন।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয় ও জুতার মালা পরিয়ে অপমান করে।

রোববার সকালে হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ইমাম রহিজ উদ্দিন মসজিদসংলগ্ন তার কক্ষে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ডেকে এনে মাদক মিশ্রিত পানীয় পান করিয়ে অচেতন করে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।

সম্প্রতি এক কলেজছাত্র তার কৌশলে পালিয়ে গিয়ে পরিবারকে ঘটনা জানায়। বিষয়টি ফাঁস হলে উত্তেজিত জনতা রহিজ উদ্দিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে ও জুতার মালা পরায়। পরে পূবাইল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

নির্যাতিত কিশোরের বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রহিজ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।

জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, “তার শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” মরদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের পোস্টমর্টেমের পর কারণ জানা যাবে।” স্থানীয়রা দাবি করেন, রহিজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে সংগৃহীত প্রমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে।” শিশু অধিকার সংগঠনগুলো ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেছে।

গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরও এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ ওঠে। শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সুশীল সমাজ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার, কারাগারে মৃত্যু 

আপডেট সময় ০১:৪৩:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

শিশু ও কিশোরদের ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুরের পূবাইল থানার হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম রহিজ উদ্দিন (৩৫) কারাগারে মারা গেছেন।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয় ও জুতার মালা পরিয়ে অপমান করে।

রোববার সকালে হায়দরাবাদ এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ইমাম রহিজ উদ্দিন মসজিদসংলগ্ন তার কক্ষে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ডেকে এনে মাদক মিশ্রিত পানীয় পান করিয়ে অচেতন করে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন।

সম্প্রতি এক কলেজছাত্র তার কৌশলে পালিয়ে গিয়ে পরিবারকে ঘটনা জানায়। বিষয়টি ফাঁস হলে উত্তেজিত জনতা রহিজ উদ্দিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে ও জুতার মালা পরায়। পরে পূবাইল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

নির্যাতিত কিশোরের বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রহিজ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।

জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, “তার শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।” মরদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহের পোস্টমর্টেমের পর কারণ জানা যাবে।” স্থানীয়রা দাবি করেন, রহিজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে সংগৃহীত প্রমাণ পরীক্ষা করা হচ্ছে।” শিশু অধিকার সংগঠনগুলো ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেছে।

গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরও এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ ওঠে। শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সুশীল সমাজ।