ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

জয়দেবপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মী মারা গেছেন। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত গার্মেন্টস কর্মীর নাম সীমা আক্তার (৩০)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে সীমা নামে এক নারী এইচডিওতে মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার শরীরের ৯০ শতাংশ, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মৃত সীমার স্বামী মো. আলহাজ জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী সীমা দুজনেই গার্মেন্টস কর্মী। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী ও এক শিশুসহ পাঁচজন শরীরে দগ্ধ হন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে আমার স্ত্রী এইচডিইউতে মারা যান।

প্রসঙ্গত, গাজীপুরের জয়দেবপুরে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১), তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জয়দেবপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মী মারা গেছেন। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল এইচডিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত গার্মেন্টস কর্মীর নাম সীমা আক্তার (৩০)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে সীমা নামে এক নারী এইচডিওতে মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার শরীরের ৯০ শতাংশ, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ানের শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এইচডিইউতে চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে তাসলিমা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মৃত সীমার স্বামী মো. আলহাজ জানান, আমি এবং আমার স্ত্রী সীমা দুজনেই গার্মেন্টস কর্মী। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আমার স্ত্রী ও এক শিশুসহ পাঁচজন শরীরে দগ্ধ হন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে আমার স্ত্রী এইচডিইউতে মারা যান।

প্রসঙ্গত, গাজীপুরের জয়দেবপুরে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন সীমা আক্তার (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১), তাসলিমা বেগম (৩০) ও তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।