১০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ইইউ বাজারে রপ্তানি; চীন-ভিয়েতনাম-ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭%, যা চীন (২৫%), ভারত (২৬%) এবং ভিয়েতনামের (১৭%) চেয়ে বেশি। ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইইউতে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। 

ইইউর শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। শীর্ষে রয়েছে চীন (৪৫৫ কোটি ডলার), এরপর বাংলাদেশ (৩৬৯ কোটি ডলার), তুরস্ক (১৬১ কোটি ডলার), ভারত (৮৭ কোটি ডলার) এবং কম্বোডিয়া (৭৮ কোতি ডলার)। ভিয়েতনাম ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে (৭৬ কোটি ডলার)।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “ইইউতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি বাংলাদেশের রপ্তানিকে ত্বরান্বিত করেছে।”

২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পর ইইউ বাজারে ৯% শুল্ক প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, ভিয়েতনামের সাথে ইইউর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ২০২৭ সালে পুরোপুরি কার্যকর হলে তাদের পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধা বাড়বে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) পূর্বাভাস দিয়েছে, এতে বাংলাদেশ ১৪.৩% রপ্তানি আয় হারাতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীন ও ভিয়েতনামের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন। এতে চীনা পণ্য অন্যান্য বাজারে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। যদিও বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও অন্যান্য দেশের উপর ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রয়েছে।

২বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের উচিত উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন ও বাজার বৈচিত্র্য বাড়ানো। এছাড়া, শুল্ক-পরবর্তী সময়ে টিকে থাকতে উৎপাদন দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি জোরদার করা জরুরি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ইইউ বাজারে রপ্তানি; চীন-ভিয়েতনাম-ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ  

আপডেট সময় ০৩:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭%, যা চীন (২৫%), ভারত (২৬%) এবং ভিয়েতনামের (১৭%) চেয়ে বেশি। ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইইউতে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। 

ইইউর শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। শীর্ষে রয়েছে চীন (৪৫৫ কোটি ডলার), এরপর বাংলাদেশ (৩৬৯ কোটি ডলার), তুরস্ক (১৬১ কোটি ডলার), ভারত (৮৭ কোটি ডলার) এবং কম্বোডিয়া (৭৮ কোতি ডলার)। ভিয়েতনাম ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে (৭৬ কোটি ডলার)।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “ইইউতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা উন্নয়ন এবং মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি বাংলাদেশের রপ্তানিকে ত্বরান্বিত করেছে।”

২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পর ইইউ বাজারে ৯% শুল্ক প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, ভিয়েতনামের সাথে ইইউর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ২০২৭ সালে পুরোপুরি কার্যকর হলে তাদের পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধা বাড়বে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) পূর্বাভাস দিয়েছে, এতে বাংলাদেশ ১৪.৩% রপ্তানি আয় হারাতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীন ও ভিয়েতনামের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন। এতে চীনা পণ্য অন্যান্য বাজারে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। যদিও বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও অন্যান্য দেশের উপর ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রয়েছে।

২বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের উচিত উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন ও বাজার বৈচিত্র্য বাড়ানো। এছাড়া, শুল্ক-পরবর্তী সময়ে টিকে থাকতে উৎপাদন দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি জোরদার করা জরুরি।