১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
ট্রেইনার হবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা

বুয়েটের নকশাকৃত নিরাপদ ই-রিকশা অনুমোদন দেবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

সরকার ঢাকার রাস্তায় চলাচলের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৈরি করা নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার নকশা অনুমোদন দিতে যাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই রিকশার অনুমোদন দেবে এবং চালকদের লাইসেন্স প্রদান করবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ সংশোধন করা হচ্ছে, যার খসড়া শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

নতুন এই রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে ৩০০ জন ‘মাস্টার ট্রেইনার’ নিয়োগ দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই পদে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

১৭ এপ্রিল নগর ভবনে অনুষ্ঠিত একটি অংশীজন সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থানীয় সরকার সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপন করা হবে। চালকদের নতুন মডেলের রিকশা কেনার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হবে, যার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান করবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান আইনে সিটি করপোরেশনগুলো মোটর ও ব্যাটারি সংযুক্ত তিন চাকার যানবাহনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স দিতে পারে না। নতুন ব্যবস্থাপনার আওতায় এসব রিকশাকে নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। এগুলোর সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিটি ওয়ার্ডের চার্জিং স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, “প্রথমে আমরা রিকশা ও চালকদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করব। তারপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। আইসিটি বিভাগ এই রিকশাকে কীভাবে আরও আধুনিক ও নিরাপদ করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে।”

গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এসব রিকশা নিবন্ধনবিহীন ও চালকদের প্রশিক্ষণহীন হওয়ায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার এই সমস্যা সমাধান ও যানবাহনটিকে একটি কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রেইনার হবেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা

বুয়েটের নকশাকৃত নিরাপদ ই-রিকশা অনুমোদন দেবে সরকার

আপডেট সময় ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সরকার ঢাকার রাস্তায় চলাচলের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৈরি করা নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার নকশা অনুমোদন দিতে যাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই রিকশার অনুমোদন দেবে এবং চালকদের লাইসেন্স প্রদান করবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ সংশোধন করা হচ্ছে, যার খসড়া শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

নতুন এই রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে ৩০০ জন ‘মাস্টার ট্রেইনার’ নিয়োগ দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এই পদে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

১৭ এপ্রিল নগর ভবনে অনুষ্ঠিত একটি অংশীজন সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থানীয় সরকার সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে রাস্তায় চলাচলকারী অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপন করা হবে। চালকদের নতুন মডেলের রিকশা কেনার জন্য এক বছর সময় দেওয়া হবে, যার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমআরএ স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান করবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান আইনে সিটি করপোরেশনগুলো মোটর ও ব্যাটারি সংযুক্ত তিন চাকার যানবাহনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স দিতে পারে না। নতুন ব্যবস্থাপনার আওতায় এসব রিকশাকে নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে। এগুলোর সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিটি ওয়ার্ডের চার্জিং স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

স্থানীয় সরকার সচিব বলেন, “প্রথমে আমরা রিকশা ও চালকদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করব। তারপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। আইসিটি বিভাগ এই রিকশাকে কীভাবে আরও আধুনিক ও নিরাপদ করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে।”

গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এসব রিকশা নিবন্ধনবিহীন ও চালকদের প্রশিক্ষণহীন হওয়ায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার এই সমস্যা সমাধান ও যানবাহনটিকে একটি কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছে।