জাতিসংঘের অনুরোধ
নতুন ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান

- আপডেট সময় ০৪:২২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক সরকারি সংস্থা রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনের (আরআরআরসি) কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, গত সপ্তাহে ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে, যাতে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্কুল, মসজিদ ও খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা গেছে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবার রয়েছে। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, “ইউএনএইচসিআর নতুন রোহিঙ্গাদের শিবিরে স্থান দিতে চাপ দিচ্ছে, কিন্তু সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, ক্রমাগত রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।”
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির গড়ে ওঠে, যেখানে বর্তমানে ১৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
ইদানীং রাখাইনে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’ ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত তীব্র হওয়ায় নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন করে মানবিক সংকট তৈরি করতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তবে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা অব্যাহত থাকায় এ প্রক্রিয়া এখনও অগ্রগতি হয়নি।