ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি এই সপ্তাহেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

আইনি লড়াইয়ের শেষ ধাপে জামায়াত! নিবন্ধন প্রশ্নে আপিল শুনানি এই সপ্তাহে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে দলটির করা আপিল শুনানির জন্য চলতি সপ্তাহের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার জামায়াতের পক্ষ থেকে আপিল শুনানির বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে আপিল বেঞ্চ জানায়, তারা কার্যতালিকা নজরে রাখবেন এবং আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার এই আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে।

সেই সময় ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ছিল। আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

তবে, নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই, অর্থাৎ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।

এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। রুলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল জারির পর নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে জামায়াত তাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।

কিন্তু দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াত আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলেও, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে, যা পরবর্তীতে আপিল হিসেবে গণ্য করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি এই সপ্তাহেই

আপডেট সময় ১২:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

আইনি লড়াইয়ের শেষ ধাপে জামায়াত! নিবন্ধন প্রশ্নে আপিল শুনানি এই সপ্তাহে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে দলটির করা আপিল শুনানির জন্য চলতি সপ্তাহের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার জামায়াতের পক্ষ থেকে আপিল শুনানির বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে আপিল বেঞ্চ জানায়, তারা কার্যতালিকা নজরে রাখবেন এবং আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার এই আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে।

সেই সময় ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়, যার মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ছিল। আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

তবে, নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই, অর্থাৎ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।

এই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। রুলে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল জারির পর নিবন্ধন টিকিয়ে রাখতে জামায়াত তাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।

কিন্তু দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দলটির নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াত আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলেও, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে, যা পরবর্তীতে আপিল হিসেবে গণ্য করা হয়।