ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

বিমানশক্তিতে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের সামরিক শক্তি ক্রমশ বাড়ছে, আকাশপথেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

এই বিপুল ব্যয়ের একটি বড় অংশীদার হলো বিমানবাহিনী। সামরিক বিমান সক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষ দশটি দেশকে আসুন আমরা জেনে নিই। তবে এই তালিকায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিমান বহরে ১৩ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ এবং এফ-২২ র‍্যাপ্টরের মতো স্টিলথ ফাইটার, যা রাডার ফাঁকি দিতে ও আকাশযুদ্ধে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে সক্ষম।

এছাড়াও, এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন এবং এফ-১৫ ঈগল/স্ট্রাইক ঈগলের মতো বহুবিধ ব্যবহারযোগ্য যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে করেছে আরও শক্তিশালী।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, যাদের বিমান বহরে ৪ হাজার ২৯২টি বিমান বিদ্যমান। তাদের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে সুখোই সু-২৭ ফ্লেঙ্কার, যা উচ্চ গতি ও উড্ডয়ন ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, সুখোই-২৪ এবং সুখোই-৩৪ ফুলব্যাকের মতো দূরপাল্লার বোমারু বিমানও রুশ বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের বিমান সংখ্যা ৩ হাজার ৩০৯টি। তাদের ফাইটার বিমানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি, যার মধ্যে রয়েছে জে-৩৫-এর মতো পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার এবং জে-১০সি, যা সব আবহাওয়ায় অভিযানের জন্য উপযোগী।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত, যাদের বিমান বহরে ২ হাজার ২২৯টি বিমান রয়েছে। সুখোই সু-৩০ ফ্লেঙ্কার-সি এবং মিগ-২৯-এর মতো শক্তিশালী ফাইটার জেট ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান শক্তি।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৫৯২টি। তাদের বহরে রয়েছে কেএফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন এবং অত্যাধুনিক এফ-৩৫এ স্টিলথ ফাইটার।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা জাপানের বিমান বহরে রয়েছে ১ হাজার ৪৪৩টি বিমান, যার মধ্যে এফ-১৫জে অন্যতম।

সপ্তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৯টি। তাদের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো চীন-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার।

অষ্টম স্থানে থাকা মিশরের বিমান বহরে রয়েছে ১ হাজার ৯৩টি বিমান, যার মধ্যে এফ-১৬ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নবম স্থানে রয়েছে তুরস্ক, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৮৩টি এবং তাদের বহরেও রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

এবং দশম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, যাদের বিমান বহরে ৯৭৬টি বিমান রয়েছে।

এই দেশগুলো আকাশপথে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত তাদের বিমানবাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামরিক ব্যয়ের এই ঊর্ধ্বগতি বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগের কারণ হলেও, দেশগুলো তাদের আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিমানশক্তিতে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

আপডেট সময় ০৪:৫৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

বিশ্বের সামরিক শক্তি ক্রমশ বাড়ছে, আকাশপথেও এর ব্যতিক্রম নয়। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি ডলার, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

এই বিপুল ব্যয়ের একটি বড় অংশীদার হলো বিমানবাহিনী। সামরিক বিমান সক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষ দশটি দেশকে আসুন আমরা জেনে নিই। তবে এই তালিকায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিমান বহরে ১৩ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ এবং এফ-২২ র‍্যাপ্টরের মতো স্টিলথ ফাইটার, যা রাডার ফাঁকি দিতে ও আকাশযুদ্ধে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে সক্ষম।

এছাড়াও, এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন এবং এফ-১৫ ঈগল/স্ট্রাইক ঈগলের মতো বহুবিধ ব্যবহারযোগ্য যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে করেছে আরও শক্তিশালী।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, যাদের বিমান বহরে ৪ হাজার ২৯২টি বিমান বিদ্যমান। তাদের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে সুখোই সু-২৭ ফ্লেঙ্কার, যা উচ্চ গতি ও উড্ডয়ন ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, সুখোই-২৪ এবং সুখোই-৩৪ ফুলব্যাকের মতো দূরপাল্লার বোমারু বিমানও রুশ বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা চীনের বিমান সংখ্যা ৩ হাজার ৩০৯টি। তাদের ফাইটার বিমানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি, যার মধ্যে রয়েছে জে-৩৫-এর মতো পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার এবং জে-১০সি, যা সব আবহাওয়ায় অভিযানের জন্য উপযোগী।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত, যাদের বিমান বহরে ২ হাজার ২২৯টি বিমান রয়েছে। সুখোই সু-৩০ ফ্লেঙ্কার-সি এবং মিগ-২৯-এর মতো শক্তিশালী ফাইটার জেট ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান শক্তি।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৫৯২টি। তাদের বহরে রয়েছে কেএফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন এবং অত্যাধুনিক এফ-৩৫এ স্টিলথ ফাইটার।

ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা জাপানের বিমান বহরে রয়েছে ১ হাজার ৪৪৩টি বিমান, যার মধ্যে এফ-১৫জে অন্যতম।

সপ্তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৯টি। তাদের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো চীন-পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার।

অষ্টম স্থানে থাকা মিশরের বিমান বহরে রয়েছে ১ হাজার ৯৩টি বিমান, যার মধ্যে এফ-১৬ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

নবম স্থানে রয়েছে তুরস্ক, যাদের বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৮৩টি এবং তাদের বহরেও রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

এবং দশম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, যাদের বিমান বহরে ৯৭৬টি বিমান রয়েছে।

এই দেশগুলো আকাশপথে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত তাদের বিমানবাহিনীকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামরিক ব্যয়ের এই ঊর্ধ্বগতি বিশ্বব্যাপী একটি উদ্বেগের কারণ হলেও, দেশগুলো তাদের আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর।