ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চাঁদের দুই দিক কেন এত আলাদা?

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদের দুই দিক কেন এত আলাদা দেখায়? পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি নাসার একটি গবেষণা দল চাঁদের অভ্যন্তরীণ গঠন নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই তথ্য চাঁদের রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।

চাঁদের যে দিকটি আমরা পৃথিবী থেকে দেখি, সেটি দেখতে মসৃণ, অন্ধকার এবং প্রাচীন লাভা প্রবাহের চিহ্নে ঢাকা। কিন্তু চাঁদের দূরবর্তী দিক, যাকে আমরা ‘ডার্ক সাইড’ বলি, সেটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। এই দিকটি রুক্ষ, পাথুরে এবং গর্তে ভরা।

এই দুই দিকের পার্থক্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কৌতূহল ছিল। এখন নাসার গবেষকরা এর একটি সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন রায়ান পার্ক, জানিয়েছেন যে চাঁদের অভ্যন্তরীণ গঠনই এই পার্থক্যের মূল কারণ। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের পৃথিবীমুখী দিকটি দূরবর্তী দিকের তুলনায় বেশি নড়াচড়া করে।

এর মানে, চাঁদের দুই দিকের অভ্যন্তরীণ গঠন এক নয়। বিশেষ করে, পৃথিবীর কাছের দিকটির অভ্যন্তর বেশি উষ্ণ।

রায়ান পার্ক বলেন, “প্রথমবার ফলাফল দেখে আমরা এতটাই অবাক হয়েছিলাম যে, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আমরা বারবার গণনা করে ফলাফল যাচাই করেছি। এই গবেষণা আমাদের প্রায় ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল।”

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের পৃথিবীমুখী দিকে লাভা প্রবাহের কারণে মসৃণ সমতল তৈরি হয়েছে, যেখানে দূরবর্তী দিকে এমন প্রবাহ কম ছিল। এই পার্থক্যের পেছনে চাঁদের অভ্যন্তরীণ তাপ এবং উপাদানের বিন্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এই গবেষণা শুধু চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্যই দেয়নি, অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহের অভ্যন্তরীণ গঠন বোঝার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে। নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁদের দুই দিক কেন এত আলাদা?

আপডেট সময় ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চাঁদের দুই দিক কেন এত আলাদা দেখায়? পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সম্প্রতি নাসার একটি গবেষণা দল চাঁদের অভ্যন্তরীণ গঠন নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই তথ্য চাঁদের রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।

চাঁদের যে দিকটি আমরা পৃথিবী থেকে দেখি, সেটি দেখতে মসৃণ, অন্ধকার এবং প্রাচীন লাভা প্রবাহের চিহ্নে ঢাকা। কিন্তু চাঁদের দূরবর্তী দিক, যাকে আমরা ‘ডার্ক সাইড’ বলি, সেটি পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। এই দিকটি রুক্ষ, পাথুরে এবং গর্তে ভরা।

এই দুই দিকের পার্থক্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কৌতূহল ছিল। এখন নাসার গবেষকরা এর একটি সম্ভাব্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন রায়ান পার্ক, জানিয়েছেন যে চাঁদের অভ্যন্তরীণ গঠনই এই পার্থক্যের মূল কারণ। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের পৃথিবীমুখী দিকটি দূরবর্তী দিকের তুলনায় বেশি নড়াচড়া করে।

এর মানে, চাঁদের দুই দিকের অভ্যন্তরীণ গঠন এক নয়। বিশেষ করে, পৃথিবীর কাছের দিকটির অভ্যন্তর বেশি উষ্ণ।

রায়ান পার্ক বলেন, “প্রথমবার ফলাফল দেখে আমরা এতটাই অবাক হয়েছিলাম যে, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আমরা বারবার গণনা করে ফলাফল যাচাই করেছি। এই গবেষণা আমাদের প্রায় ১০ বছরের পরিশ্রমের ফল।”

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের পৃথিবীমুখী দিকে লাভা প্রবাহের কারণে মসৃণ সমতল তৈরি হয়েছে, যেখানে দূরবর্তী দিকে এমন প্রবাহ কম ছিল। এই পার্থক্যের পেছনে চাঁদের অভ্যন্তরীণ তাপ এবং উপাদানের বিন্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এই গবেষণা শুধু চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্যই দেয়নি, অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহের অভ্যন্তরীণ গঠন বোঝার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে। নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।