ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‘ড. ইউনূসকে বিদায় দেওয়া হবে, তিনি বিদায় নিতে পারবেন না’: মাসুদ কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা ত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “ড. ইউনূস বিদায় নিতে পারবেন না, বিদায় দেওয়া হবে।”

মাসুদ কামাল তার বক্তব্যে ড. ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস এমন শান্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন যেখানে মার খেয়েও চুপ করে থাকতে হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে আমরা শুনতাম যে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারতো না। নদীর চরে গিয়ে থাকতো, জঙ্গলে থাকতো, এগুলো ঘটেছে বাংলাদেশে।

আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, যে কারণে আমরা তাদের স্বৈরাচার বলেছি, ফ্যাসিবাদী বলেছি, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি।”

এরপরই তিনি সরাসরি ড. ইউনূসের বর্তমান আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেন, “এখন উনি (ড. ইউনূস) যেসব আচরণ শুরু করছেন তাতে ওনাকেও বিদায় দেওয়া হবে, উনি বিদায় নিতে পারবেন না।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, কিন্তু ওনার আমলে কি শান্তি বেড়েছে দেশে? রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, কেউ যদি আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর বলে পেটায়, একটা পুলিশও আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। এই বাস্তবতার নাম কি শান্তি?”

ড. ইউনূস কেন সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, “তিনি রাজনীতি বোঝেন না।”

২৫শে আগস্ট তার দেওয়া এক বক্তব্যে ড. ইউনূস নিজেকে এবং উপদেষ্টাদের “অন্য জগতের মানুষ” বলে উল্লেখ করেছিলেন।

মাসুদ কামাল সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, একটি সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, “আমি এগুলা বুঝি না।” যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় – “অন্যরা ভুল করলে তাদের কিছু বলেন না?”

উত্তরে তিনি বলেন – “তাদের কী বলব, আমি নিজেই ভুল করি, আমি নিজেই তো বুঝি না। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা যায় না, ড. ইউনূস অনুরোধে ঢেঁকি গিলছেন। উনি আবার সেটা বলেন যে এইটা আমি জানি না।”

সেই সময়ে ড. ইউনূসের বিকল্প ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল দৃঢ়ভাবে বলেন, “সেটা তো ড. ইউনূসের দেখার ব্যাপার না। এমন বিকল্প নেই সেই কথা শেখ হাসিনাও বলতো। তার কিছু চামচা ছিল; আপনার-আমার বন্ধু ছিলো যারা গিয়ে বলতো— আপা আপনি তো অমর। আপনি মরে গেলে দেশের কী হবে? তো এখন উনি নাই, তাতে কি দেশের কোনো সমস্যা হয়েছে?

পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নাই। আর এই বিষয়টা যারা মানতে না পারে তাদের আচার-আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব আছে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

‘ড. ইউনূসকে বিদায় দেওয়া হবে, তিনি বিদায় নিতে পারবেন না’: মাসুদ কামাল

আপডেট সময় ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা ত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “ড. ইউনূস বিদায় নিতে পারবেন না, বিদায় দেওয়া হবে।”

মাসুদ কামাল তার বক্তব্যে ড. ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস এমন শান্তি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন যেখানে মার খেয়েও চুপ করে থাকতে হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে আমরা শুনতাম যে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারতো না। নদীর চরে গিয়ে থাকতো, জঙ্গলে থাকতো, এগুলো ঘটেছে বাংলাদেশে।

আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে, যে কারণে আমরা তাদের স্বৈরাচার বলেছি, ফ্যাসিবাদী বলেছি, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছি।”

এরপরই তিনি সরাসরি ড. ইউনূসের বর্তমান আচরণ নিয়ে মন্তব্য করেন, “এখন উনি (ড. ইউনূস) যেসব আচরণ শুরু করছেন তাতে ওনাকেও বিদায় দেওয়া হবে, উনি বিদায় নিতে পারবেন না।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন, কিন্তু ওনার আমলে কি শান্তি বেড়েছে দেশে? রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন, কেউ যদি আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর বলে পেটায়, একটা পুলিশও আপনাকে বাঁচাতে আসবে না। এই বাস্তবতার নাম কি শান্তি?”

ড. ইউনূস কেন সবাইকে নিয়ে কাজ করছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, “তিনি রাজনীতি বোঝেন না।”

২৫শে আগস্ট তার দেওয়া এক বক্তব্যে ড. ইউনূস নিজেকে এবং উপদেষ্টাদের “অন্য জগতের মানুষ” বলে উল্লেখ করেছিলেন।

মাসুদ কামাল সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, একটি সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, “আমি এগুলা বুঝি না।” যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় – “অন্যরা ভুল করলে তাদের কিছু বলেন না?”

উত্তরে তিনি বলেন – “তাদের কী বলব, আমি নিজেই ভুল করি, আমি নিজেই তো বুঝি না। অনুরোধে ঢেঁকি গেলা যায় না, ড. ইউনূস অনুরোধে ঢেঁকি গিলছেন। উনি আবার সেটা বলেন যে এইটা আমি জানি না।”

সেই সময়ে ড. ইউনূসের বিকল্প ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ কামাল দৃঢ়ভাবে বলেন, “সেটা তো ড. ইউনূসের দেখার ব্যাপার না। এমন বিকল্প নেই সেই কথা শেখ হাসিনাও বলতো। তার কিছু চামচা ছিল; আপনার-আমার বন্ধু ছিলো যারা গিয়ে বলতো— আপা আপনি তো অমর। আপনি মরে গেলে দেশের কী হবে? তো এখন উনি নাই, তাতে কি দেশের কোনো সমস্যা হয়েছে?

পৃথিবীতে অপরিহার্য কোনো ব্যক্তি নাই। আর এই বিষয়টা যারা মানতে না পারে তাদের আচার-আচরণে স্বৈরাচারী মনোভাব আছে।”