ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আরও ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নারী ও শিশুসহ আরও ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে, যা ‘পুশইন’ নামে পরিচিত।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, ১৮ই জুন ভোরে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে, বিশেষ করে মাসুদপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৪/-১ এস সীমান্ত পিলার ব্যবহার করে এই ২০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

যাদের পুশইন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুরুষ, সাতজন নারী এবং দশটি শিশু। অর্থাৎ, একটা বড় অংশই ছিল নারী ও শিশু, যা এই ঘটনাকে আরও মানবিক দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এই ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংক্ষেপে বিজিবি, তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে এই অবৈধ পুশইনের জন্য কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

পুশইনের শিকার এই ২০ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজ চলছে। একইসাথে, তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়াও চলছে।

এই ধরনের পুশইনের ঘটনা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাধারণত, যখন কোনো দেশ অবৈধভাবে কাউকে অন্য দেশের ভূখণ্ডে ঠেলে পাঠায়, তখন তাকে ‘পুশইন’ বলা হয়। এটি দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং মানবিক সংকট তৈরি করতে পারে।

৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এই প্রসঙ্গে বলেন, “সীমান্ত এলাকায় নারী ও শিশু পুশইন রোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে এবং এই কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।” তার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বিজিবি এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।

এর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭শে মে বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে এবং ৩রা জুন চানশিকারী সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আরও ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

আপডেট সময় ০১:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নারী ও শিশুসহ আরও ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে, যা ‘পুশইন’ নামে পরিচিত।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, ১৮ই জুন ভোরে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে, বিশেষ করে মাসুদপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৪/-১ এস সীমান্ত পিলার ব্যবহার করে এই ২০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।

যাদের পুশইন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পুরুষ, সাতজন নারী এবং দশটি শিশু। অর্থাৎ, একটা বড় অংশই ছিল নারী ও শিশু, যা এই ঘটনাকে আরও মানবিক দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এই ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংক্ষেপে বিজিবি, তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে এই অবৈধ পুশইনের জন্য কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

পুশইনের শিকার এই ২০ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজ চলছে। একইসাথে, তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়াও চলছে।

এই ধরনের পুশইনের ঘটনা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাধারণত, যখন কোনো দেশ অবৈধভাবে কাউকে অন্য দেশের ভূখণ্ডে ঠেলে পাঠায়, তখন তাকে ‘পুশইন’ বলা হয়। এটি দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং মানবিক সংকট তৈরি করতে পারে।

৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এই প্রসঙ্গে বলেন, “সীমান্ত এলাকায় নারী ও শিশু পুশইন রোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে এবং এই কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।” তার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বিজিবি এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।

এর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭শে মে বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে এবং ৩রা জুন চানশিকারী সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছিল বিএসএফ।