সিলেটে জুলাইযোদ্ধাকে মারধর করায় এএসআই বরখাস্ত

- আপডেট সময় ১১:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকায় ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে আহত গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) জসিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গণভ্যুত্থানে আহত এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত এএসআই জসিমকে প্রথমে দায়িত্ব থেকে ক্লোজড করা হয়। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম) শাহাদত হোসেনকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) ভোরে নগরীর শেখঘাট এলাকায় মারধরের শিকার হন ২০২৪’এর গণভ্যুত্থানে আহত ইসলাম উদ্দিন নামের এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন চা বিক্রেতা। শনিবার ফজরের পর তিনি দোকান খুললে অভিযুক্ত এএসআই জসিম এসে এতো ভোরে দোকান খোলা কেন জানতে চান। এরপরই কোনো কথা না শুনেই মারধর শুরু করলে আহত হন ইসলাম উদ্দিন। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) ও জুলাইযোদ্ধাদের সহযোদ্ধারা। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্যসচিব ফখরুল হাসান জানান, সিলেটের লামাবাজার এলাকায় ফজরের নামাজের পর চায়ের দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন ইসলাম উদ্দিন। ইসলাম উদ্দিন সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। জুলাই আন্দোলনের সময় আহত হয়ে বর্তমানে তিনি সিএনজি চালাতে না পেরে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান দেন।
ফখরুল আরও জানান, এ নিয়ে দুজনের বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে ইসলাম নিজেকে জুলাইযোদ্ধা পরিচয় দেন। তখন এসআই জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস-এই বলে কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে মারতে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে এসআই জসিম ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান।