০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা, পথে নামছেন খামারিরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে ডিম ও মুরগির বাজারে আসছে বড়সড় ধাক্কা। আগামী ১ মে থেকে সারা দেশের সব প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন—সংক্ষেপে বিপিএ।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ, গত দুই মাসে প্রান্তিক খামারিরা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার লোকসানে, যার মধ্যে রমজান ও ঈদ মৌসুমেই লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেও কেজিপ্রতি গড়ে ৩০ টাকা করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন খামারিরা।

বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেছেন, “আমরা কর্পোরেট দাসত্ব মানব না। যতদিন সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর উদ্যোগ না নেবে, ততদিন খামার বন্ধ থাকবে।”

দাবি ১০ দফা, কর্মসূচি চলবে অনির্দিষ্টকাল:

সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার এই দাবিগুলো না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে তারা।

দাবিসমূহ সংক্ষেপে:
১. পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা গঠন
২. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিষিদ্ধ করতে আইন
৩. পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি
৪. ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ
৫. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি
৬. কোম্পানিকে শুধু কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা
৭. কোম্পানির খামার ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিষিদ্ধ
৮. কেজি ভিত্তিক ডিম-মুরগি বিক্রির নীতিমালা
৯. রপ্তানির সুযোগ বাড়ানো
১০. পূর্ণাঙ্গ পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন

সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে ডিম ও মুরগির দাম অস্থির হলেও, খামারিরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। বিপিএর দাবি, বড় বড় কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেট ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিরা মার খাচ্ছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এই সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই  বলে অভিযোগ খামারীদের।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা, পথে নামছেন খামারিরা

আপডেট সময় ০২:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে ডিম ও মুরগির বাজারে আসছে বড়সড় ধাক্কা। আগামী ১ মে থেকে সারা দেশের সব প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন—সংক্ষেপে বিপিএ।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ, গত দুই মাসে প্রান্তিক খামারিরা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার লোকসানে, যার মধ্যে রমজান ও ঈদ মৌসুমেই লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেও কেজিপ্রতি গড়ে ৩০ টাকা করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন খামারিরা।

বিপিএ সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেছেন, “আমরা কর্পোরেট দাসত্ব মানব না। যতদিন সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর উদ্যোগ না নেবে, ততদিন খামার বন্ধ থাকবে।”

দাবি ১০ দফা, কর্মসূচি চলবে অনির্দিষ্টকাল:

সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার এই দাবিগুলো না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে তারা।

দাবিসমূহ সংক্ষেপে:
১. পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা গঠন
২. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিষিদ্ধ করতে আইন
৩. পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি
৪. ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ
৫. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি
৬. কোম্পানিকে শুধু কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা
৭. কোম্পানির খামার ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিষিদ্ধ
৮. কেজি ভিত্তিক ডিম-মুরগি বিক্রির নীতিমালা
৯. রপ্তানির সুযোগ বাড়ানো
১০. পূর্ণাঙ্গ পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন

সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে ডিম ও মুরগির দাম অস্থির হলেও, খামারিরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। বিপিএর দাবি, বড় বড় কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেট ও কন্ট্রাক্ট ফার্মিং-এর মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিরা মার খাচ্ছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এই সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই  বলে অভিযোগ খামারীদের।