১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সারাদেশে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

সারাদেশে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র রয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামের দুই স্কুলছাত্র ফাহাদ হোসেন (১০) ও মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) মাঠে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতে নিহত হয়।

তারা স্থানীয় বড়হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। একই সময়ে মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে জুয়েল ভূঁইয়া ও নিখীল দেবনাথ নিহত হন।

এদিকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রের নাম রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শাল্লার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সোমবার সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায় রিমন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কিন্তু নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগে বজ্রপাতে রিমন তালুকদার ও তার সঙ্গে থাকা একটি গরুর মৃত্যু হয়।

নেত্রকোনায় মদন ও কলমাকান্দা উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, জেলার মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামে সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। তার নাম আরাফাত মিয়া।
এদিকে, কলমাকান্দা ‍উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে দিদারুল ইসলাম নামে এক কওমি মাদরাসার শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।

খারনৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বজ্রপাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রবিবার রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সারাদেশে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানি

আপডেট সময় ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সারাদেশে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন স্কুলছাত্র রয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামের দুই স্কুলছাত্র ফাহাদ হোসেন (১০) ও মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) মাঠে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতে নিহত হয়।

তারা স্থানীয় বড়হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। একই সময়ে মুরাদনগর উপজেলার কোরবানপুর গ্রামে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে জুয়েল ভূঁইয়া ও নিখীল দেবনাথ নিহত হন।

এদিকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রের নাম রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শাল্লার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে সোমবার সকালে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায় রিমন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কিন্তু নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগে বজ্রপাতে রিমন তালুকদার ও তার সঙ্গে থাকা একটি গরুর মৃত্যু হয়।

নেত্রকোনায় মদন ও কলমাকান্দা উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, জেলার মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামে সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। তার নাম আরাফাত মিয়া।
এদিকে, কলমাকান্দা ‍উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে দিদারুল ইসলাম নামে এক কওমি মাদরাসার শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।

খারনৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বজ্রপাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রবিবার রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেছেন।