০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
উৎপাদন ব্যাহত

ডিইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন: ৩০% কারখানা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৩:২৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ৩০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্ল্যান্টে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সৃষ্ট এই সংকটে কারখানাগুলো জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। 

ডিইপিজেড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বিল বকেয়ার অভিযোগে ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এরপর থেকে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যদিও ৭০ শতাংশ কারখানা নিজস্ব জেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ৫টি কারখানা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে ২৫-২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি, যা দিয়ে ৭০% কারখানা চালানো সম্ভব হচ্ছে। যদি ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তাহলে ৯০% কারখানা চালু করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও জানান, তিতাস গ্যাস ও ইউনাইটেড পাওয়ারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া নিয়ে বিরোধ চলছে। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ডিইপিজেডের কারখানাগুলো সময়মতো উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারছে না, যা বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউনাইটেড পাওয়ারের ব্যবস্থাপক মমতাজ হাসান বলেন, “বেপজা, তিতাস গ্যাস ও আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।”

এদিকে, এই বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ডিইপিজেডের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত সমাধান না আসে, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক কারখানা উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

উৎপাদন ব্যাহত

ডিইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন: ৩০% কারখানা বন্ধ

আপডেট সময় ০৩:২৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ৩০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পাওয়ার প্ল্যান্টে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সৃষ্ট এই সংকটে কারখানাগুলো জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। 

ডিইপিজেড সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বিল বকেয়ার অভিযোগে ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এরপর থেকে ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যদিও ৭০ শতাংশ কারখানা নিজস্ব জেনারেটর ব্যবহার করে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ৫টি কারখানা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শরীফুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ থেকে ২৫-২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি, যা দিয়ে ৭০% কারখানা চালানো সম্ভব হচ্ছে। যদি ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, তাহলে ৯০% কারখানা চালু করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও জানান, তিতাস গ্যাস ও ইউনাইটেড পাওয়ারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া নিয়ে বিরোধ চলছে। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ডিইপিজেডের কারখানাগুলো সময়মতো উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারছে না, যা বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউনাইটেড পাওয়ারের ব্যবস্থাপক মমতাজ হাসান বলেন, “বেপজা, তিতাস গ্যাস ও আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।”

এদিকে, এই বিদ্যুৎ সংকটের কারণে ডিইপিজেডের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত সমাধান না আসে, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক কারখানা উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হবে।