ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৯:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

সরকার সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে এবং মাঠের কর্মকর্তাদের সচিবালয়ে বদলির সুযোগ তৈরি হবে। এতে একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অবস্থানের প্রবণতা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসি সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের অনুরূপ নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ‘জনপ্রশাসন ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা’ প্রণয়নের জন্য গত ৩০ এপ্রিল আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক নিয়োগবিধি রয়েছে। একইভাবে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্যও আলাদা বিধিমালা কার্যকর আছে। নতুন বিধিমালা প্রণয়ন হলে সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম সোহেল বলেন, “সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য নতুন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। কমিটি শিগগিরই বৈঠক করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ তৈরি করবে।”

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তার মতে, *”মাঠ প্রশাসন ও সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের কাজের ধরন ও যোগ্যতা একই রকম। তাই এই বিধিমালা দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে।”*

সচিবালয়ে প্রায় ১৩ হাজার নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এবং ৯ জন উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, মাঠ প্রশাসনে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ৮৩১টি এও (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) পদ থাকলেও বর্তমানে ৪৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। নতুন বিধিমালা প্রণয়নের পর এসব পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হচ্ছে

আপডেট সময় ০৯:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

সরকার সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে এবং মাঠের কর্মকর্তাদের সচিবালয়ে বদলির সুযোগ তৈরি হবে। এতে একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অবস্থানের প্রবণতা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসি সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের অনুরূপ নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ‘জনপ্রশাসন ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা’ প্রণয়নের জন্য গত ৩০ এপ্রিল আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক নিয়োগবিধি রয়েছে। একইভাবে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এবং সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্যও আলাদা বিধিমালা কার্যকর আছে। নতুন বিধিমালা প্রণয়ন হলে সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম সোহেল বলেন, “সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য নতুন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। কমিটি শিগগিরই বৈঠক করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ তৈরি করবে।”

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তার মতে, *”মাঠ প্রশাসন ও সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের কাজের ধরন ও যোগ্যতা একই রকম। তাই এই বিধিমালা দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে।”*

সচিবালয়ে প্রায় ১৩ হাজার নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এবং ৯ জন উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, মাঠ প্রশাসনে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ৮৩১টি এও (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) পদ থাকলেও বর্তমানে ৪৭৫ জন কর্মরত রয়েছেন। নতুন বিধিমালা প্রণয়নের পর এসব পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।