ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

গাজাসহ ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৯:২১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী আরও তিন দেশে একযোগে হামলা চালিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ছাড়াও ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ করেছে। এসব হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলে মরিয়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, নতুন স্থল অভিযানের মাধ্যমে গাজার ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এই মন্তব্যের আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং একে মানবতাবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

চার দেশে চালানো হামলার মধ্যে ইয়েমেনে ইসরায়েল ৩০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার (৫ মে) তাদের এক্স পোস্টে এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দর এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ এবং হোদেইদার পূর্বে একটি কংক্রিট কারখানায় তারা হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার প্রকৃতি ও হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন দিনের সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অঞ্চলে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে উত্তেজনা প্রশমন এবং একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা। তবে ইসরায়েলের একযোগে চার দেশে হামলার এই ঘটনা আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজাসহ ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫৪

আপডেট সময় ০৯:২১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী আরও তিন দেশে একযোগে হামলা চালিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা ছাড়াও ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ করেছে। এসব হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ দখলে মরিয়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, নতুন স্থল অভিযানের মাধ্যমে গাজার ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এই মন্তব্যের আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং একে মানবতাবিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে।

চার দেশে চালানো হামলার মধ্যে ইয়েমেনে ইসরায়েল ৩০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সোমবার (৫ মে) তাদের এক্স পোস্টে এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানিয়েছে, ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দর এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ এবং হোদেইদার পূর্বে একটি কংক্রিট কারখানায় তারা হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলার প্রকৃতি ও হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আগামী সপ্তাহে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন দিনের সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অঞ্চলে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে উত্তেজনা প্রশমন এবং একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা। তবে ইসরায়েলের একযোগে চার দেশে হামলার এই ঘটনা আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।